রাজধানীর গুলশান এলাকায় ’দি ক্যাপিটাল রিক্রিয়েশন ক্লাবে’ বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)।
অভিযানে ক্লাব পরিচালকদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। জড়িতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র্যাব।
শনিবার (৬ নভেম্বর) রাতে এক ক্ষুদে বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, রাজধানীর গুলশান এলাকায় রিক্রিয়েশন ক্লাবে বিপুল পরিমাণ অননুমোদিত বিদেশি মদ, বাংলা মদ ও বিয়ার বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ করে রাখা হয়েছে বলে র্যাব-১ এর আভিযানিক দল জানতে পারে। সেই ভিত্তিতে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে গুলশান থানার ১২ নম্বর বাড়ির, ১৭ নম্বর রোডের রিক্রিয়েশন ক্লাবে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১ এর আভিযানিক দল।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, অভিযানকালে দেখা যায়, ক্লাবের লাইসেন্সে উল্লেখিত নির্দিষ্ট স্টোর রুম/ওয়্যার হাউজ ছাড়া বিভিন্ন গোপন স্থানে- ক্লাবের নিচের কক্ষের হল রুমের স্টেজের কার্পেটের নিচে, হল রুমের পেছনে ওয়াশরুমের ফলস ছাদের উপরে ও ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার সিঁড়ির মাঝামাঝি স্থানে দেওয়ালে ঝুলন্ত ছবির পেছনে বিশেষ কায়দায় তৈরি করা গোপন বক্সে মজুদ করে রাখা হয়েছিল। অভিযানে ২৪৮ বোতল বিদেশি মদ, ১ হাজার ৪১৩ ক্যান বিয়ার ও ২১৫ বোতল দেশিয় মদ (১৬১.২৫ লিটার) জব্দ করা হয়।
র্যাব-১ এর এই অধিনায়ক আরও বলেন, অভিযান পরিচালনাকালীন সময়ে ক্লাবটির দায়িত্বশীল অনেকেই উপস্থিত ছিলেন না। তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও কোনো সাড়া মেলেনি।
দায়িত্বশীলদের মধ্যে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মো. আবুল হোসেন (৫৬), ম্যানিজিং ডিরেক্টর কামরুল হাসান ওরফে হান্নান (৫০), ফাইন্সান্স দেলোয়ার হোসেন দুলাল (৬৫) ও মীর মোহাম্মদ জাকির হোসেন মানিকের (৪৩) বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
- কোন কোন খাতে বিনিয়োগ করলে আয়কর রেয়াত পাবেন, জেনে নিন
- ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা হচ্ছে: জয়
