নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: ভারত করোনার টিকা রপ্তানির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর সে দেশ থেকে টিকা আনার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় এখন দ্রুত নতুন উৎস খুঁজছে বাংলাদেশ সরকার। সে ক্ষেত্রে আমেরিকা, রাশিয়া ও চীন থেকে করোনার টিকা আমদানির উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না, রাশিয়ার স্পুতনিক-ভি ও চায়না সিনোফার্ম ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশনের টিকা আমদানির প্রস্তুতি হিসেবে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়ে ইতিবাচক মত দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত একটি কমিটি। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার তারা একটি বৈঠক করেন ।
সূত্র জানায়, “কমিটি গতকাল তাদের প্রথম বৈঠকে পাঁচটি টিকা নিয়ে আলোচনা করে। এর মধ্যে দুটি টিকা নিয়ে তারা আগ্রহ দেখায়নি। একটি হলো চীনের সিনোভ্যাকের টিকা, যার কার্যকারিতা ৫০ শতাংশের কম। অন্যটি যুক্তরাষ্ট্রের জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা, যা কমপক্ষে মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। এটা বাংলাদেশের জন্য কঠিন।”
“ভারত টিকা রপ্তানির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার খবর আসার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অন্য উৎস খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করেছিল। কমিটিকে মতামতসহ সুপারিশ পাঠাতে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে। ফলে কমিটির সদস্যদের হাতে সময় আছে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রথম বৈঠকের পর কাল শুক্রবার কমিটির পরবর্তী বৈঠক ডাকা হয়েছে।”
“তিন কোটি ডোজ দিতে চায় রাশিয়া” রাশিয়ার টিকার বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসেবা সচিব লোকমান হোসেন মিয়াকে একটি জরুরি চিঠি দেন। এতে তিনি বলেন, “রাশিয়ার কাছ থেকে স্পুতনিক-ভি টিকা সংগ্রহের চেষ্টা তারা অব্যাহত রেখেছেন। রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সেখানকার ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি অব রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বা সিআরডিআইএফ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা বাংলাদেশকে আগামী মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ কোটি ও ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৩ কোটি ৬০ লাখ ডোজ টিকা দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। টিকার বিষয়ে তথ্য পাওয়া ও চুক্তি করতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”