আন্তর্জাতিক

নিউইয়র্কে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশির মৃত্যু



নিউইয়র্ক নগরীর ম্যানহাটনে ফুড ডেলিভারি করতে গিয়ে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন সালাহ উদ্দিন বাবলু নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ম্যানহাটনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি ইউএসএ ইনক।

জানা যায়, নিহত বাবলুর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার ২ নং নদনা ইউনিয়নের হাটগাঁও এলাকায়। জীবিকার তাগিদে ৪ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন তিনি এবং দীর্ঘদিন ধরে নিউইয়র্কে নগরীর ব্রুকলিনে বসবাস করে আসছিলেন।

সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ অক্টোবর (শুক্রবার) রাতে নিউইয়র্ক নগরীর ব্যস্ততম এলাকা ম্যানহাটন ডাউনটাউনের ক্রিস্টি ও ইস্ট হাউস্টনের কর্নারে অবস্থিত রুজভেল্ট পার্কের কাছে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন এই বাংলাদেশি। ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ক্ষত-বিক্ষত বাবলুকে প্রশাসনের সহায়তায় নিয়ে যাওয়া হয় ম্যানহাটনের বেলভিউ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে লাইফ সাপোর্টে স্থানান্তর করেন। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শনিবার দুপুর ২টায় মারা যান তিনি। তার মুখে ও পেটে ছুরির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

এনওয়াইপিডি পুলিশ জানায়, কেবল বাংলাদেশিকেই নয়, আরো একটি ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশি সালাহউদ্দিন বাবলুকে ছুরিকাঘাতের ঠিক ১২ ঘণ্টা পর আরেকজনকেও আহত করে দুর্বৃত্তরা। এসময়ে একটি বাইকও ছুরি করে নিয়ে যায় তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানায়, ম্যানহাটনের রুজলেভেল্ট পার্কের কাছে একটি ই-বাইকের গতিরোধ করে দুর্বৃত্তরা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ফুড-ডেলিভারি করায় তার কাছে টিপসের (বকশিস) নগদ অর্থের সন্ধান করেছিল ছিনতাইকারীরা। কয়েক মিনিটের মধ্যেই হামলাকারী একটি ব্লেড দিয়ে ভিকটিমকে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনার শিকার বাংলাদেশি বাইকের উপর বসেই লড়াই করেছিলেন। মারাত্মক জখম অবস্থায় বাবলু পার্কের দিকে ছুটে যান এবং সিটি পার্ক বিভাগে কর্মকর্তাদের কাছে সহযোগিতা চান।

পুলিশ আরো জানায়, ভুক্তভোগীর বাইকের পেছনে একটি ফুড ডেলিভারি ব্যাগ সংযুক্ত ছিল। হামলার শিকারের সময় কোনো পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছিলেন কি না তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

এদিকে, হামলাকারী একটি সিটি বাইকে এলাকা ছেড়ে দ্রুত অন্যত্র পালিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *