শিক্ষা ও সাহিত্য

ওমিক্রন বাড়লেও স্কুল বন্ধের চিন্তা যেন সবার শেষে হয় : ইউনিসেফ

শিক্ষা ডেস্ক, ধূমকেতু বাংলা: ‘করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ওমিক্রন ধরনের জেরে সারাবিশ্বে সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। নতুন উদ্বেগজনক এই ধরনটিকে বুঝতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছেন। অনিশ্চয়তা বাড়তে থাকায় অনেক সরকারই স্কুল খোলা রাখা হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তা করছে। এ অবস্থায় একটি জিনিস আমরা নিশ্চিতভাবে জানি, ব্যাপকভাবে স্কুল বন্ধের আরেকটি ঢেউ শিশুদের জন্য সর্বনাশা হবে।’

শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘প্রমাণ স্পষ্ট: দীর্ঘায়িত, দেশব্যাপী স্কুল বন্ধ; ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকদের জন্য সীমিত সম্পদ, দূরবর্তী শিক্ষার সুযোগের অভাব শিক্ষাখাতে কয়েক দশকের অগ্রগতি মুছে দিয়েছে। শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ ও মানসিক সমস্যাগুলো ছায়া মহামারির রূপ ধারণ করেছে।’

‘শিক্ষার সুযোগ হারানো ছাড়াও শিশুরা স্কুলের নিরাপত্তা, বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিদিন সশরীরে যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ এবং অনেক ক্ষেত্রে দিনের একমাত্র পুষ্টিকর খাবারও হারিয়েছে।’

‘করোনাকালে এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে, আর্থিকমূল্য বিচার করলে তার পরিমাণ সম্মিলিতভাবে ১৭ লাখ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এই অর্থ তারা সারাজীবনে আয় করতে পারত। এ কারণেই যতদিন সম্ভব দেশব্যাপী স্কুল বন্ধ করা ঠেকিয়ে রাখা উচিত। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লে ও কঠোর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা জরুরি হয়ে পড়লে স্কুলগুলো অবশ্যই সবার শেষে বন্ধ এবং আবার সবার আগে খুলতে হবে’, বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা জানি যে, স্কুলগুলোতে প্রশমন ব্যবস্থা কার্যকর। স্কুলগুলো খোলা রাখার জন্য এই জ্ঞান যথাসাধ্য ব্যবহার করতে হবে। কোনো শিশু যাতে পিছিয়ে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই ডিজিটাল সংযোগে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। ২০২২ শিক্ষার আরেকটি ব্যাহত বছর হতে পারে না। এটি এমন বছর হওয়া দরকার যেখানে শিক্ষা ও শিশুদের সর্বোত্তম স্বার্থ অগ্রাধিকার পাবে।’

আরো পড়ুন:

লটারির মাধ্যমে স্কুলে ভর্তির ফল প্রকাশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *