সংস্কৃতি

শিল্পকলায় বৃহস্পতিবার বাতিঘরের ‘ঊর্ণাজাল’-এর ২৯তম প্রদর্শনী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: বিদেশ থেকে শিক্ষা জীবন শেষ করে নিজ গ্রামে ফেরে খালেদ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর শেষ হয় গ্রামবাসীর। স্কুলের জন্য রেখে যাওয়া পিতার স্বপ্নের একখন্ড জমিতে মাদ্রাসা গড়ে তোলে সে। অন্যদিকে সাইজির আখড়ায় বেড়ে উঠা গায়েন সয়ফুল, খালেদের বাল্যবন্ধু। ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হতে শিল্পের মনসংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয় শিল্পী। ঘূণে কাটে একতারাটি। চক্ষুদান করে যাওয়া জয়নাল গাতকের জানাজা পড়ানোর দায়ে ইমামের জিহবা কেটে নেয় কে বা কারা। গাতকের কবরে গোক্ষুর দেখে ভীত সন্ত্রস্ত হয় গ্রামবাসী। সুযোগে ধর্মীয় মতবাদের আশ্রয়ে ঢুকে পড়ে অপকৌশল-কূটনীতি। কাফের মুর্তাদ হত্যার প্রশিক্ষণ চলতে থাকে দূরের জঙ্গলে, জঙ্গি ক্যাম্পে। বেধর্মী তিনজন ডাক্তার হত্যা করতে পুরো হাসপাতাল ধ্বংসের বর্ণনা, বিভৎসতার চরম রুপ মৃত অন্তস্বত্তা মায়ের পেট ফেটে বেরিয়ে আসা মৃত নবজাতক। সমাবেশে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটাতে গিয়ে, হতাহতের দৃশ্যে হতবিহবল মুজাহিদের মৃত্যু হয়, পিন পয়েন্ট খোলা নিজের হাতের অন্য গ্রেনেডে । গোপনে বাঁশঝাড়ে দাফন হয় লাশটির। মধ্যরাতে শহীদের লাশ খায় একদল শিয়াল। মুর্তাদের চোখ নিয়ে বেঁচে থাকা মুজাহীদ বিভ্রান্ত হয় জিহাদী কর্মে। কৌশলে চোখ দুটো উপড়ে ফেলে আমীর। তৃতীয় নয়ন উম্মোচিত হয় মুজাহীদের।

এই নাটকে মানুষের সুশিক্ষায় স্থির থাকতে না পারা, অশিক্ষাকে শিক্ষা বলে গ্রহণ করা এবং নিজস্ব সংস্কৃতিকে চিনতে না পারার দৃষ্টিহীনতাই নাটকটিতে ঘুরে ফিরে এসেছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে “দৃষ্টিপাত নাট্যদল” আয়োজিত নাট্য উৎসবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাতিঘরের ‘ঊর্ণাজাল’ নাটকটির ২৯তম প্রদর্শনী ।

বাকার বকুলের রচনা ও নির্দেশনায় নাটকটি প্রযোজনা করেছে বাতিঘর নাট্যদল। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুক্তনীল, খালিদ হাসান রুমি, সাদ্দাম রহমান, সঞ্জয় গোস্বামী, সুইটি সরকার, মনিরুজ্জামান ফিরোজ, শিশির সরকারসহ অনেকে।

আরো পড়ুন:

 হুমায়ূন আহমেদের নামে ট্রেন চাইলেন ভক্তরা

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *