ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: জার্মানে প্রথমবারের মতো দুজন ট্রান্সজেন্ডার ওমেন (রূপান্তরিত নারী) পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে গ্রিন পার্টি থেকে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাঁদের এই জয়কে জার্মানের ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য ঐতিহাসিক বিষয় বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
জার্মানির পার্লামেন্ট বুন্দেসতাগের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত এই দুই রূপান্তরিত নারী হলেন, টেজা গেনজেরা (৪৪) ও নাইকি স্লাভেক (২৭)। এর মধ্যে গেনজেরা ২০১৩ সালে দেশটির বাভারিয়া আঞ্চলিক পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি সেখানকার নুরেমবার্গ এলাকা থেকে বুন্দেসতাগের সদস্য হলেন। গ্রিন পার্টি এবারের নির্বাচনে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দলটির ২০১৭ সালের নির্বাচনে প্রাপ্ত ৮ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট এবার বেড়ে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
গেনজেরা তাদের এই জয়কে ঐতিহাসিক বিজয় হিসেবে দেখেন। তিনি বলেন, ‘এটি গ্রিনদের জন্য যেমন একটি ঐতিহাসিক বিজয়, তেমনই ঐতিহাসিক বিজয় ট্রান্স মুক্তি আন্দোলন ও অন্যান্য যৌন পরিচয়ের মানুষদের জন্যও।’
তিনি মনে করেন, তাদের মতো ট্রান্সজেন্ডারদের এই জয় জার্মান সমাজের সহনশীল মনোভাবের প্রমাণ বহন করে। গেনজেরা, লেসবিয়ান মায়েদের সন্তান দত্তক নেওয়ার পক্ষে আইনি পরিবর্তন চান। তার নিজেরও দুটি ছেলে রয়েছে।
স্লাভেক নির্বাচনের এই ফলাফলকে অবিশ্বাস্য বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য নর্থ রিনে-ভেস্টফালিয়া থেকে নির্বাচিত হন। স্লাভেক ইনস্টাগ্রামে লিখেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত জয়ের বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারছি না। ঐতিহাসিক এই ফলাফলের কারণে আমি বুন্দেসতাগের একজন সদস্য হতে যাচ্ছি।’
স্লাভেকও দেশ জুড়ে ভিন্ন যৌন পরিচয়ধারীদের পরিচয় নির্মাণের পক্ষে আইনি পরিবর্তনের দাবি করেন। ১৯৬৯ সালে জার্মানিতে সমকামিতা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে ২০১৭ সালে সমলিঙ্গের বিয়ের বৈধতা আসলেও জার্মান জুড়ে এলজিভিটি লোকদের ওপর সহিংসতা কমেনি, বরং বেড়েছে। দেশটির পুলিশের দেওয়া এক তথ্য মতে, গত বছর জার্মানি জুড়ে এ ধরনের মানুষদের ওপর সহিংসতা ৩৬ শতাংশ বেড়েছে।
আরো পড়ুন: