দ্বিগুণ উপকারিতা খুঁজে নিন আদা থেকে
আদা থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টিগুন পেতে চাইলে এর খোসা খাওয়ারও অভ্যাস করতে হবে এবং এর মাধ্যমেই দ্বিগুণ উপকারিতা খুঁজে নিন আদা থেকে।
সারা বছরের রান্নায় আদা ব্যবহৃত হয়ে থাকে তবে বছরের এই সময় পাওয়া আদাতে খাবারের সাথে বেশ পরিবর্তন আসে। ভাজা, তরকারি বেইক না স্মুদি ইত্যাদি যেকোনোভাবেই রান্নায় আদার ব্যবহার খাবারকে বেশ স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু করে তোলে।
দ্বিগুণ পুষ্টির জন্য আদা ও এর খোসা খাওয়ার পরামর্শ অনেক পুষ্টিবিদই দিয়েছেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে আদা থেকে দ্বিগুণ পুষ্টিগুণ ওউপকারিতা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা যায়।
অসুস্থ অবস্থায় টোটকা হিসেবেও আদার ব্যবহার বেশ প্রচলিত। যেমন- পেটের সমস্যা, গলা ব্যথা, ঠাণ্ডা-কাশি ইত্যাদি রোগ দেখা দিলে আদা খাওয়া উপকারী।
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকমকে প্রকাশত এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ ট্রেসি লকউড বেকারম্যান বলেন, “গবেষণায় দেখা গেছে আদাতে থাকা জিঞ্জারল নামক যৌগ প্রদাহের ফোলা ভাব ও ব্যথা কমাতে কার্যকর।”
রন্ধনশিল্পী, স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক এবং হার্ভার্ড থেকে প্রশিক্ষিত জীববিজ্ঞানী কাঞ্চন কোয়া, তার ইন্সটাগ্রামে এক ভিডিও বার্তায় জানান, আদার খোসা এর সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী অংশ। যদিও তা আমরা না জেনেই ফেলে দেই।
তিনি বলেন, “আদার খোসা খাবার যোগ্য। এতে রয়েছে দ্বিগুন পরিমাণ পলিফেনোল যা গুরুত্বপূর্ণ ও স্বতন্ত্র যৌগ।”
ইতালি’র ‘ইউনিভার্সিটি অফ কালাব্রিয়া’র ফার্মেসি হেল্থ অ্যান্ড নিউট্রিশন’ বিভাগের করা গবেষণায় দেখা গেছে, আদার খোসা খাওয়া কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ড. কোয়া বলেন, “যদিও অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রে আদার খোসা হজম করা কঠিন। তবে ভিন্ন উপায়ে তা খাওয়া যেতে পারে। যেমন- সুপে ব্যবহার করা, চা তৈরিতে ব্যবহার করা অথবা যে কোনো রান্নায় আদার খোসাসহ ব্যবহার করা যা পরবর্তিতে ছেঁকে নেওয়া যায়।”
এর ফলে খাবারে আদার খোসায় থাকা পুষ্টি উপাদান যোগ হয়। আর তা হজমে কোনো রকম সমস্যাও সৃষ্টি করে না।
নিউ ইয়র্ক’য়ের এই পুষ্টিবিদ আদার খোসা ছাড়ানোর ক্ষেত্রে ছুরি ব্যবহারের পরিবর্তে চামচ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এতে আদার মাংসল অংশ কম অপচয় হয়।
এছাড়া সারারাত আদার খোসা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন রান্নায় সেই পানি ব্যবহার করলে এতে থাকা প্রদাহরোধী উপাদান রান্নার মাধ্যমে খাবারে যোগ করা যায়।
ড. কোয়া খাবারের সর্বোচ্চ ব্যবহারের দিকে জোর দেন।
তিনি মনে করেন, খাবারের মাংশল অংশ ও খোসার সর্বোচ্চ ব্যবহারে কেবল খাদ্যের অপচয় কমায় না বরং স্বাস্থ্য নিরাপত্তাতেও দ্বিগুন ভূমিকা রাখে।