ধূমকেতু ডেস্ক : শীত মানেই সব্জির ঝুড়িতে হরেক রংয়ের মেলা। লাল-হলুদ-সবুজ-কমলা কতকিছু। তার মধ্যে প্রথম তিনটি রঙের দাবিদার ক্যাপসিকাম। এর মধ্যেও আবার বিভাজন আছে। সবিজ হলে ক্যাপসিকাম, আর হলুদ-লাল মাত্রই বেলপেপার। তফাত আর কিছুই নয়।

হলুদ আর লাল আমেরিকার মাটিতে বেশি জন্মায় বলে সেখানকার অধিবাসীরা এর নাম দিয়েছে বেলপেপার। আর সবুজ এদেশের মাটিতে জন্মায় বলে ক্যাপসিকাম।

সবুজের ফলন বেশি। তাই দাম কম। আর বাকি দুই রঙের আমদানি বাইরে থেকে হয় বলে পকেটও ভারি।

ক্যাপসিকামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি ২, বি৩, বি৯,ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ম্যাঙ্গানিজ ও পটাসিয়াম থাকে। এছাড়াও এরমধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে।

কাঁচা অথবা রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। বেলপেপারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ভিটামিন সি থাকে। সুতরাং প্রচুর প্রচুর গুণে সমৃদ্ধ এই রংবহুল সব্জিটি। তবে শোনা যায় অস্ট্রেলিয়াতে আরও নানা রঙের ক্যাপসিকাম পাওয়া যায়।

নানারকম ভিটামিনে সমৃদ্ধ বেলপেপারও। তবে বেলপেপারে ক্যালোরির পরিমাণ ক্যাপসিকামের তুলনায় একটু বেশি। মাপে যা খুব সামান্যই। তাই কাঁচা অথবা পাকা যে কোনও অবস্থাতেই ক্যাপসিকাম খেতে পারেন।

কাঁচা এবং পাকা ক্যাপসিকামের পুষ্টিমূল্যে একবার চোখ বুলিয়ে নিন

দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়

ক্যাপসিকামের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রেটিনাকে যে কোনও প্রকার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে। চোখের আরও নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে

ক্যাপসিকাম থেকে দেহে নতুন রক্ত তৈরি হয়। ফলে যাদের রক্তাপ্লতা আছে তারা প্রতিদিনের ডায়েটে ক্যাপসিকাম রাখতেই পারেন। এছাড়াও এরমধিযে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে।

অ্যালার্জি প্রতিরোধে

খুব দ্রুত অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা থাকে। সেক্ষেত্রে বেলপেপার খুব ভালো কাজ করে।

ক্রনিক অসুখ সারাতে

পেটের সমস্যা বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে প্রতিদিনের মেনুতে ক্যাপসিকাম অবশ্যই রাখুন। রান্না করে বা কাঁচা যেভাবে হোক।

বডি মাস্ক বা ম্যাসাজ

ক্যাপসিকাম অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে। তাই ক্যাপসিকাম থেকে তৈরি হওয়া ক্রিম বা মাস্ক ব্যবহার করুন। ভিটামিন সি এবং নানা প্রকার ক্যারটিনয়েডস থাকায় তা শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *