ধর্ম ও জীবন ডেস্ক, সুখবর ডটকম: অগ্নিকাণ্ড মানুষের বিপদের কারণ। সাধারণত অসতর্কতায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকে। দুনিয়ার বিপদ-আপদ, আজাব-গজব থেকে বেঁচে থাকতে আল্লাহর স্মরণের বিকল্প নেই। তাই কোথাও আগুন লাগলে মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা জরুরি।

আগুন লাগলে আল্লাহর ওপর ভরসা করে তা নিভানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। অতঃপর আল্লাহর কাছে তা সহজে নির্মূলে দোয়া ও আমল করা জরুরি।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহ আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা যখন কোথাও আগুন (লাগতে) দেখো, তখন তোমরা (উচ্চস্বরে-اَكْبَر اَللهُ) তাকবির দাও। কারণ (উচ্চস্বরে-اَكْبَر اَللهُ) তাকবির আগুন নিভিয়ে দেবে। (তাবরানি)।

তাকবির হলো :

كْبَر اَللهُ كْبَر اَللهُ

উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার।

অর্থ : আল্লাহ মহান। আল্লাহ মহান।

ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘আগুন যত ভয়ংকর হোক না কেন; তাকবিরের মাধ্যমে তা নিভে যায়। আর আজানের মাধ্যমে শয়তান পলায়ন করে।

আজান দেয়া : আগুনের আক্রমণ যদি বেড়ে যায় তবে উচ্চ স্বরে আগুন নেভানোর নিয়তে আজান দিলেও আল্লাহর রহমতে আগুন নেভানো সহজ হয়।

পবিত্র কুরআনের একটি আয়াত পড়লে আগুনের কার্যক্ষমতা নিস্তেজ হয়ে যায় এবং আগুন নেভাতে সহজ হয়। যে দোয়ায় হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে আগুন স্পর্শ করেনি। আর তা হলো-

يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ

উচ্চারণ : ‘ইয়া নারু কুনি বারদাও ওয়া সালামান আলা ইবরাহিম।’

অর্থ : হে আগুন! তুমি ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আগুন নেভাতে সকল প্রচেষ্টার পাশাপাশি উচ্চ স্বরে আল্লাহ তাআলার তাসবিহ ও আজান দেয়ার তাওফিক দিন। আমিন।

এমএইচডি/

আরো পড়ুন:

মসজিদ নির্মাণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *