বিশেষ খবর

বান্দরবানে কলাগাছের আঁশে তৈরি হলো শাড়ি!

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর ডটকম: বান্দরবান জেলায় দেশে প্রথমবারের মতো তৈরি হয়েছে কলাগাছের সুতা দিয়ে আকর্ষণীয় শাড়ি। জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিরবীজির উদ্যেগে এটি সম্ভব হয়েছে। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে মৌলভীবাজার থেকে বান্দরবানে এসেছেন প্রশিক্ষক রাধাবতী দেবী। তার তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ একমাসের প্রচেষ্টায় কলাগাছের সুতা দিয়ে শাড়ি তৈরি হয়েছে। ১৩ হাতের এ শাড়ির নাম রাখা হয়েছে কলাবতী।

এ বিষয়ে প্রশিক্ষক রাধাবতী দেবী বলেন, দেশে বিভিন্ন সুতা দিয়ে শাড়ি তৈরি হলেও কলাগাছের সুতা দিয়ে প্রথমবার শাড়ি তৈরি করলাম। বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। এই শাড়ি তৈরিতে ১৫ দিন সময় লেগেছে। এক কেজি কলাগাছের আঁশের সুতা দিয়ে এই আকর্ষণীয় শাড়ি তৈরি হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীতে আরও কম সময়ে ও কম খরচে আরও মসৃণ ও উন্নতমানের শাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বান্দরবানের উপ-পরিচালক আতিয়া চৌধুরী বলেন, জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিরবীজির অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ কলাগাছের সুতা থেকে শাড়ি হলো। আমরা সবাই তার উপর অনেক গর্বিত। ভবিষ্যতে আরও নিত্যনতুন সামগ্রী উৎপাদন হবে। যাতে নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি আরও বৃদ্ধি পায়।

বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ও এই শাড়ি তৈরির সার্বিক সহযোগী সাই সাই উ নিনি বলেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসকের দুরদর্শী চিন্তার ফসল এই কলাগাছের সুতা থেকে তৈরি শাড়ি। এ পরিবেশবান্ধব শাড়ি সবার কাছে দ্রুত সময়ে পৌঁছে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।

জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, আমরা প্রতিকুলতার পথ পাড়ি দিয়ে কলাগাছের সুতা থেকে একটি দৃষ্টিনন্দন শাড়ি তৈরি করতে পেরেছি। এটি দেখতে যেমন সুন্দর ও তেমন আকর্ষণীয়। এ জেলার নারীরা কলাগাছ থেকে আঁশ তৈরি করে আরও বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প ও সৌখিন জিনিসপত্র তৈরি করছে।

তিনি আরও বলেন, বান্দরবানে নারীদের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে বান্দরবান জেলা প্রশাসন একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত কয়েকটি ধাপে স্থানীয় প্রায় ৪শ নারীদের কয়েক দফায় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এখন লামা, রুমা ,আলীকদম ও থানচি উপজেলাতে এই পাইলট প্রকল্পের আওতায় নারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। বান্দরবানের নারীরা এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বুক ফোল্ডার, টেবিল মেট,পাপোস,শোপিস,কানের দুল,কলম দানিসহ বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব হস্তশিল্প তৈরি করছে। এগুলো ভালো দামে বিক্রিও হচ্ছে।

এম/

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের ব্র্যান্ড মূল্য ৫০৮ বিলিয়ন ডলার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *