ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে আসায় লোকাল ট্রেন চালু হতে যাচ্ছে। ১৫ আগস্ট থেকে চালু হবে এসব ট্রেন। তবে যাত্রীদের জন্য শর্ত রয়েছে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর থেকে ট্রেনে ওঠা যাবে।
ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, উদ্ধব ঠাকরে গতকাল রোববার এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করছি। করোনার সংক্রমণ যদি আবারও বেড়ে যায়, তবে আমরা আবারও লকডাউনের মতো পদক্ষেপ নেব। তাই আমি জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, কোভিড-১৯-এর আরেকটি ঢেউ ডেকে আনবেন না।’
উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ‘মুম্বাইয়ে লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু করবে ১৫ আগস্ট থেকে। যাঁরা টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন, তাঁরা ট্রেনে উঠতে পারবেন। এ জন্য আমরা একটি মুঠোফোন অ্যাপ চালু করব। যাঁরা টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন, তাঁরা এতে তথ্য হালনাগাদ করতে পারবেন। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর জনগণ এ অ্যাপ থেকে পাস নিতে পারবেন কিংবা সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে গিয়েও এ পাস সংগ্রহ করতে পারবেন।’
মহারাষ্ট্রের এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাঁদের স্মার্টফোন নেই, তাঁরা মিউনিসিপ্যাল অফিস বা স্থানীয় রেলস্টেশনে গিয়ে এই ছবিযুক্ত পাস সংগ্রহ করতে পারবেন। স্থানীয়ভাবে ভ্রমণের জন্য এ পাস ব্যবহার করা যাবে। এতে কিউআর কোড থাকবে, যা স্ক্যান করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হতে পারবে, ওই ব্যক্তি টিকা নিয়েছেন কি না। তিনি আরও বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যাঁরা অবৈধভাবে পাস সংগ্রহ করবেন, তাঁদের ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেবেন না। দুই ডোজ টিকা নিন এবং ট্রেনে ভ্রমণ করুন।’
এদিকে রাজ্যের অন্যান্য এলাকায় যেসব বিধিনিষেধ রয়েছে, তা শিথিল করা হবে কি না, এ বিষয়েও গতকাল কথা বলেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজ সোমবার টাস্কফোর্সের বৈঠক আছে। এ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বিপণিবিতান, রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে কি না।
মুম্বাইয়ে ট্রেন এখনো চালু। তবে সেটা সাধারণ মানুষের জন্য নয়। যাঁরা রাজ্যের জরুরি সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত, শুধু তাঁরাই ট্রেনে উঠতে পারছেন। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামাল দিতে গত এপ্রিল মাসে জনসাধারণের জন্য এ সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর তা আবার খোলার ঘোষণা দেওয়া হলো। এ প্রসঙ্গে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ‘সবাই জানি, আমরা এখনো করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এ ছাড়া তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাও রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বারবার এ বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে।’