প্রচ্ছদ

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুত ডিএনসিসির ১২ হাজার কর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদে জবাই হওয়া পশুর বর্জ্য অপসারণে নিজেদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। ঈদের প্রথম দিনে উৎপন্ন বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অপসারণে এবারও লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সংস্থাটি। এজন্য থাকছে ১২ হাজারেরও বেশি কর্মী বাহিনী।

প্রতি বছর ঈদুল আজহায় বর্জ্য অপসারণ নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় সিটি কর্পোরেশনকে। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে ঈদের প্রথম দিনে উৎপন্ন হওয়া বর্জ্যের বেশিরভাগই ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অপসারণ করতে পারছে ডিএনসিসি। সেই লক্ষ্যে এখনই নিজেদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখছে বলে ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়।

ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান বলেন, এবারও আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। নতুন ১৮টি ওয়ার্ড ছাড়া পুরনো ৫৪টি ওয়ার্ড নিয়ে এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাকি ওয়ার্ডগুলোতেও দ্রুত অপসারণ করা হবে।

কমডোর সাইদুর বলেন, বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির নিজস্ব দুই হাজার ৬০০ জন থাকছে। এছাড়াও পিডব্লিউসিএসপি (Primary Waste Collection Service Provider) সহ অন্যান্য মাধ্যমে আরও অন্তত ১১ হাজার কর্মী থাকবেন। সবমিলিয়ে ১২ হাজারের বেশি কর্মী এবারের ঈদে বর্জ্য অপসারণে কাজ করবেন। বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির নিজস্ব যত্রপাতি ও গাড়ির সাথে বেসরকারিভাবেও পে-লোডার বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও গাড়ি থাকবে। প্রায় ৪০০ থেকে ৪৫০টি যানবাহন নিয়োজিত থাকবে।

এবারের ঈদে ১০ হাজার টন বর্জ্য ডিএনসিসি এলাকায় উৎপন্ন হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কমডোর সাইদুর রহমান বলেন, স্বাভাবিক সময়ে ডিএনসিসি এলাকায় দৈনিক তিন হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। ঈদ উল আযহার দিন ছয় থেকে সাত হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে বলে আমরা অনুমান করছি। তবে এরপরের দুই দিন কোরবানির বর্জ্যের পরিমাণ কমে যাবে। সবমিলিয়ে ১০ হাজার টনের মতো বর্জ্য উৎপন্ন হবে এমনটাই অনুমান নিয়ে আমরা আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।

এদিকে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন অন্যান্যবারের তুলনায় এবার অনলাইনে পশু কেনার হার বেশি। অনেকেই অনলাইনে পশু কিনে কোরবানি করে কাটা মাংস ডেলিভারি নেবেন। ফলে বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়া আরও সহজতর হবে সিটি কর্পোরেশনের জন্য।

প্রোটিন পণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম প্রোটিন মার্কেটের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যদি কোরবানির পশু কিনে সেটিই কোরবানি করে প্রসেস করা মাংস (কাটা মাংস) ডেলিভারি করা হয় তাহলে বর্জ্য নিয়ে কোনো অব্যবস্থাপনা থাকবে না। অনেক সময়েই পাড়া মহল্লার অলিতে গলিতে পশু জবাই করা হয় যা হয়তো সিটি কর্পোরেশন জানেও না। তখন তাদের জন্য বর্জ্য অপসারণ কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যখন আমরা এই কাজটি করব তখন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহজ হয়ে যাবে। দেখা যাবে আমরাই সিটি কর্পোরেশনের কোনো স্টেশনে বা গাড়িতে বর্জ্য পৌঁছে দিতে পারবো বা তাদেরকে আমাদের লোকেশন বললে সহজেই তারা আমাদের থেকে নিয়ে যেতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *