ত্বকের যত্ন

ত্বকের পুনর্গঠনে চায়ের ব্যবহার

চায়ে উপকারী উপাদানের অভাব নেই। যেমন ব্ল্যাক টিতে আছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক, ট্যানিন ও পলিফেনল। আবার গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল, ট্যানিন ও ফ্লোরাইড। এই উপদানগুলো ত্বকের পুনর্গঠনে চমত্‍কার কাজ করে। ফলে বলিরেখা, বয়সের ছাপ ইত্যাদি নানা সমস্যা দূর থাকে। পাশাপাশি সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে।[wp_ad_camp_2]

ত্বকের পুনর্গঠনে চায়ের ব্যবহার

ক্লেনজার-

গ্রিন টি ক্লেনজার হিসেবে খুবই চমত্‍কার। এক টেবিল চামচ সাধারণ ক্লেনজারের সাথে এক টেবিল চামচ চা পাতা (গ্রিন টি) মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হাত ভিজিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে জমে থাকা ধুলোময়লা, ঘাম, তেল পরিষ্কার হয়ে যাবে। ত্বকে আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় থাকবে।

টোনার-

গ্রিন টি খুবই ভালো প্রাকৃতিক স্কিন টোনার। গরম পানিতে গ্রিন টি আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে একটি কাচের পাত্রে রাখুন। এর সাথে গোলাপজল, গ্লিসারিন, অ্যালোভেরার রস ভালো করে মেশান। এরপর মিশ্রণটি একটি বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। মুখ ধোয়ার পর তুলায় এই টোনার নিয়ে মুখ ও গলা মুছে নিন। নিয়মিত লাগালে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, ত্বক টানটান হবে। ত্বক হবে উজ্জ্বল।

স্ক্রাবার-

এক টেবিল চামচ মিহিদানার চিনি, এক টেবিল চামচ চালের গুঁড়া, এক চা চামচ কাঠবাদামের গুঁড়া, পরিমাণমতো গ্রিন টি ও গোলাপজল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। গ্রিন টি না থাকলে ব্ল্যাক টিও ব্যবহার করতে পারেন। এবার মিশ্রণটি মুখে ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে কিছুক্ষণ ঘষে ধুয়ে ফেলুন। মরা কোষ সহজে দূর হয়ে যাবে। ত্বকের কালো ছোপছোপ দাগ অনেক হালকা হয়ে যাবে। ত্বক হয়ে উঠবে কোমল, মসৃণ ও উজ্জ্বল। এই স্ক্রাবার সপ্তাহে তিন ব্যবহার করলে বলিরেখার সমস্যা কমে যাবে।

ফেসপ্যাক-

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চায়ের বিকল্প নেই। এক টেবিল চামচ বেসন, একটা ডিমের সাদা অংশ, এক চা চামচ মধু, এক চা চামচ কাঠবাদামের গুঁড়ার সাথে পরিমাণমতো চায়ের লিকার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে, গলায়, ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে আলতো মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বকের জৌলুস বেড়ে গেছে বহু গুণ।