পর্যটন ও পরিবেশ

লকডাউনের ৫ দিনে ঢাকার বায়ুমানের উন্নতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান লকডাউনের পাঁচ দিনেই ঢাকার বায়ুমানের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন কার্যক্রম, বিভিন্ন ধরনের পরিবহন, কলকারখানা বন্ধ থাকায় বায়ুদূষণের উৎসগুলো কমে যাওয়ায় এ উন্নতি ঘটেছে বলে মনে করছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। শনিবার (৩ জুলাই) দুপুরে রিয়েল টাইম এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমানের সূচক ছিল ৭০, যা গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।

একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকলে বাতাসের মান আমাদের জন্য ভালো বা স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীদের জন্য সংবেদনশীল ও স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা আছে ধারণা করা হয়। একিউআই মান ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান মনে করা হয় ঝুঁকিপূর্ণ।

রিয়েল টাইম এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী শনিবার ঢাকার বায়ুর মান সম্পন্ন ভালো না হলেও গ্রহণযোগ্য। যেখানে এ বছরের শুরুর কয়েকমাসে ঢাকার বায়ুর মান সবচেয়ে খারাপ এবং অস্বাস্থ্যকর ছিল।

বর্তমানে ঢাকার বায়ুমানের উন্নতি প্রসঙ্গে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, লকডাউনে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন বন্ধ রয়েছে। যানবাহন বন্ধ থাকায় বাতাসে ধুলাবালির দূষণও কমেছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, কলকারখানা বন্ধ থাকায় বর্তমানে বাতাসের মান অনেকটা উন্নত হয়েছে। তবে বর্তমান বায়ুর যে অবস্থা রয়েছে, লকডাউন শেষেও যেন তেমনটা থাকে আমাদের সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, লকডাউনে বায়ুমানের উন্নতিতে আমাদের কাছে পরিষ্কার হলো যে, ভবিষ্যতে বায়ুমান উন্নয়নে কোন কোন ক্ষেত্রে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে সেটা চিহ্নিত হয়েছে। একইসাথে সরকার যে নির্মল বায়ু আইন প্রণয়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে সেটা এগিয়ে নিতে হবে। জনসাধারণসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করে, স্বল্পমেয়াদী, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে এবং তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা আরও মনে করেন, পরিবেশের ক্ষতি না করেই আমাদের বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সচল রাখতে হবে। পরিবেশের প্রতি লক্ষ্য রেখে যদি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ করা করা হয় তাহলেই স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং উন্নত বায়ুর মান নিশ্চিত করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *