লাইফস্টাইল

প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটার উপকারিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস করা উচিত। হাঁটলে শরীরের প্রতিটি কোষে বিশুদ্ধ রক্ত এবং অক্সিজেন পৌঁছে যায়। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং সহজেই অসুখে পড়ার প্রবণতা কমে। সাধারণত হাঁটার কিছু নির্দিষ্ট সময় আছে, যা কেবল সেই সময়ে করলেই হতে পারবেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। সেরকমই একটি বিশেষ সময় হচ্ছে খাবার খাওয়ার পর। খাবার খাওয়ার পরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলে আপনি পাবেন বেশকিছু উপকারিতা।

১. হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে ওজন কমাতে চাইলে শুরুটা করতে পারেন রাতের খাওয়ার পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট করে হাঁটার মাধ্যমে। ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে হবে, যাতে আধা ঘণ্টা হাঁটার অভ্যাসটা হয়ে যায়। কতোটা নিয়মিত আর কতক্ষণ হাঁটছেন তার উপরই নির্ভর করবে সাফল্য।

২. খাবার খাওয়ার পরে অনেকেরই তা ঠিকঠাক হজম হয় না। এজন্য নিয়মিত এ্যান্টাসিড জাতীয় ঔষধও খেয়ে থাকেন। কিন্তু হজম হলো শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে খাদ্য আপনার শরীরে বিভিন্ন ক্রিয়া-বিক্রিয়া করে। তাই খাবারের পর আপনার শরীরে যদি ভারী ভাব অনুভূত হয়, তবে না ঘুমিয়ে আপনার উচিৎ হাঁটার চেষ্টা করা। যা আপনার খাবার হজম করবে এবং বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া করার মতো অস্বস্তি থেকে মুক্তি দেবে।

৩. অনেকের মধ্যেই ভ্রান্ত ধারণা থাকে, সেটা হলো খাবারের পর হাঁটা স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু খাওয়ার পর অল্প হাঁটা কিন্তু আপনার শরীরের বিপাকীয় ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এটি আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝড়াতে সাহায্য করে। এবং শরীরের বাড়তি ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলে।

৪. খাবারের পর দশ থেকে ত্রিশ মিনিট হাঁটলে রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যারা ডায়াবেটিস রোগী, তাদের অবশ্যই হাঁটা উচিৎ। যাদের ডায়াবেটিস নেই, তারা হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে নিজেকে রাখতে পারবেন ফিট ও সুস্বাস্থ্যর অধিকারী।

৫. ওজন কমাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে হাঁটা। সারাদিনের কর্ম ব্যস্ততায় জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার তেমন সময় পাওয়া যায় না। তবে এই হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে আপনি বাড়তি ওজন খুব সহজেই কমাতে পারবেন।

৬. সারা দিনের স্ট্রেস ও দুশ্চিন্তা যে কারো ঘুম তাড়িয়ে দিতে যথেষ্ট। ব্যক্তিগত জীবনের নানা ঝামেলা আর কর্মক্ষেত্রের কাজের চাপ আমাদের নিশ্চিন্তে ঘুমাতে দেয় না। ঘুম না আসার সমাধানটা খুব কঠিন কিছু নয়, আপনি যদি রাতের খাবারের পর কিছুক্ষণ হাঁটেন তবে এটি আপনার রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে যা মানসিক চাপ কমায় আর আপনার ঘুম আগের চেয়ে তুলনামূলক বেশি হবে।

৭. শুধু খাবারের পর নয় প্রতিদিন নিয়ম করে আধা ঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস করুন। সকালে হাঁটলে রক্তের লোহিত কণিকাগুলো থেকে চর্বি ঝরে যায়, হাঁটার সময় রক্তের ইনসুলিন ও গ্লুকোজ ক্ষয় হয়। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে। সকালে হাঁটলে বাতাস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে হৃৎপিন্ড রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত মস্তিষ্কে সরবরাহ করে। ফলে মস্তিষ্ক সচল থাকে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া হাঁটলে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হয়। এতে ত্বকের লোমকূপগুলো খুলে যায় এবং শরীরের দূষিত পদার্থগুলো ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় দেখায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *