প্রচ্ছদজাতীয়সর্বশেষ

জলবায়ু ইস্যুতে বিশ্বনেতাদের জোরালো পদক্ষেপ চান প্রধানমন্ত্রী

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট মোকাবেলায় জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে জলবায়ু বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি নিয়ে জল্পনা কল্পনার মধ্যেই  এই আহ্বান জানান তিনি।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সপ্তাহব্যাপী অধিবেশনের আগে বিশ্ব নেতাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে প্যারিস চুক্তির কঠোরভাবে বাস্তবায়নে তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
নিউইয়র্কে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস।
শেখ হাসিনা উন্নত দেশগুলোকে স্মরণ করিয়ে দেন, বিশ্বব্যাপী গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমণে সামান্য অবদান রাখা সত্ত্বেও বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা অন্যান্য দেশের ভয়ংকর শিকারে পরিণত হয়েছে। তিনি পৃথিবীকে রক্ষায় বর্ধিত তহবিল নিয়ে জলবায়ু জনিত সমস্যা সমাধানের জন্যে নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠকে জনসনও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দূরে রাখার সমর্থনে আরো অর্থ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান। বিশেষ করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কথা তুলে ধরে বলেন, এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেলে তা তহবিলের পুরো চেহারাই পাল্টে দেবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর উদ্বেগের কথা স্বীকার করে বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ ও অনুন্নত দেশ যারা সংকট মোকাবেলা করছে তাদের জন্যে যুক্তরাষ্ট্র তার ন্যায্য অংশ প্রদান করবে কিনা এ বিষয়ে বাইডেনের কাছ থেকে শোনার জন্যে বিশ্বকে অপেক্ষা করতে হবে।
বৈঠক শেষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আমাদের বন্ধু সুইডেন, ডেনমার্ক, ইতালি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্যান্যদের কাছ থেকে কিছু অঙ্গীকারের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা অনেক প্রতিশ্রুতি ও ইতিবাচক কথা শুনেছি। দেখা যাক আমরা কোথায় গিয়ে পৌঁছাই।
জলবায়ু ইস্যুতে ডাকা বিশ্ব নেতাদের এ রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বাইডেন যোগ দেননি। তবে তার জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি অংশ নিয়েছেন।
এর আগে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে জাতিসংঘ বলেছে, সাধারণ পরিষদের এই অধিবেশন জলবায়ু এবং কভিড-১৯ মোকাবেলার ইস্যু মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে।   সূত্র: বাসস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *