প্রচ্ছদজাতীয়

মালেকের রায়ে সন্তুষ্ট রাষ্ট্রপক্ষ

অস্ত্র আইনে করা মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলের ১৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলি সালাউদ্দিন হাওলাদার রায় ঘোষণার পর বলেন, মালেকের কাছে যে অস্ত্র পাওয়া গেছে তা তার শয়নকক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে শাস্তি দিতে এর চেয়ে বড় প্রমাণ প্রয়োজন হয় না। বিচারক যে রায় দিয়েছেন তাতে আমরা অত্যন্ত খুশি।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অস্ত্র আইনের এক ধারায় ১৫ বছর ও আরেক ধারায় তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেছেন।
রায় ঘোষণার পর মালেক বলেন, আমাকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন আমার কাছে কিছু পায়নি। এরপর আমাকে নিয়ে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হলো। আজ আমাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হলো। মিথ্যা মামলায় আমাকে সাজা ভোগ করতে হচ্ছে।
এদিন রায়ের পর আদালত প্রাঙ্গনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মালেকের পরিবারের সদস্যরা। মালেকের মা আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, আমার ছেলে নির্দোষ। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
মালেকের স্ত্রী বলেন, তাকে যখন আটক করা হয়েছিল তখন তার কাছে কিছু পাওয়া যায়নি। পরে তাকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। মালেকের ছেলে, মেয়ে ও বোন বলেন, তিনি নির্দোষ। মিডিয়া তাকে ফাঁসিয়েছে। তাকে আটকের সময় দেখানো হয়েছে কোটি টাকা। এ টাকা গেলো কোথায়?
রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আবার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। আলোচিত এ মামলায় ১৩ সাক্ষীর সবার সাক্ষ্যই নিয়েছেন আদালত।
২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে আবদুল মালেককে গ্রেফতার করে র‍্যাব-১। সেসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় র‍্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। 
গত ১১ জানুয়ারি অস্ত্র আইনের মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা র‍্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান চৌধুরী ১৩ জনকে সাক্ষী করে মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। গত ৪ এপ্রিল মালেকের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

/জেড এইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *