স্বাস্থ্য

কোভিড টিকা পেতে জাতিসংঘের উদ্যোগ চাইবে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কার হলে তা পেতে কোনো দেশ যেন বৈষম্যের শিকার না হয়, সেজন্য জাতিসংঘে উদ্যোগ চাইবে বাংলাদেশ সরকার।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চলতি অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি তুলতে পারেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ যাতে সুলভ মূল্যে করোনাভাইরাসের টিকা পায়, সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কোনো দেশ যেন এক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার না হয়, আমরা সে দাবি তুলেছি।”

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ইতিহাসে প্রথমবারের মত ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সদস্য রাষ্ট্রসমূহ নিজ নিজ দেশ থেকে এবারের সভায় অংশ নিচ্ছে।

১৫ সেপ্টেম্বর থেকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বৈশ্বিক সংস্থার সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হয়েছে। এই অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের বিতর্কপর্ব ২২ সেপ্টেম্বর শুরু হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ও পূর্বধারণকৃত বক্তব্যের মাধ্যমে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম এই অধিবেশনে অংশ নিবেন।

২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাধারণ বিতর্ক পর্বের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ৭৫ বছর পূর্তিতে উচ্চ পর্যায়ের আয়োজন, ডিজিটাল কো-অপারেশন নিয়ে সংলাপ, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গোলটেবিল, মহামারীকালে অর্থনৈতক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় কোভিড-১৯ দমনে বিশ্ববাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার আবশ্যকতা, ভ্যাক্সিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ, এবং জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত ও দুর্দশা দমনে আমাদের গৃহীত কার্যক্রম প্রাধান্য পাবে।

“পাশাপাশি, জলবায়ূ পরিবর্তন, প্রযুক্তির আদান প্রদান, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণ, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, শিশু স্বাস্থ্য ও তাদের অধিকার, শান্তিরক্ষা ও শান্তি বিনির্মাণ, এবং নারীর ক্ষমতায়নের মতো বিষয়সমূহ উঠে আসবে।”

প্রতিবারের মত রোহিঙ্গা সমস্যা ও তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রাধান্য পাবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আইসিজেতে চলমান মামলা এবং আইসিসিতে রোহিঙ্গা নির্যাতনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে এবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা পূর্বের বছরগুলোর মতই গুরুত্ব সহকারে আলোচিত হবে।”

রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন এবং আত্মীকরণে মিয়ানমারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পূর্ণ প্রতিফলন দেখানোসহ চার দফা প্রস্তাব এর আগে এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সেখানে ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *