স্বাস্থ্য

ইনসেপ্টা-ভিরাকর্প একসঙ্গে নাসাল টিকা উৎপাদনে কাজ করবে

ডেস্ক প্রতিবেদন, ধূমকেতু বাংলা: অত্যাধুনিক ইন্ট্রা-নাসাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সুঁচবিহীন করোনার টিকা উৎপাদন করতে যাচ্ছে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইনসেপ্টা এবং যুক্তরাজ্যের বায়োমেডিকেল ফার্ম ভিরাকর্প।

নতুন এ টিকা ভিরাকর্পের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভাইরোলজিস্ট ড. মোহাম্মদ মুনিরের কাজের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হচ্ছে।

আজ শুক্রবার ইনসেপ্টার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ টিকা করোনা থেকে তো সুরক্ষা দেবেই, পাশাপাশি অন্যান্য এমন অনেক সুবিধাও দেবে—যেগুলো বর্তমানে বাজারে থাকা অন্যান্য টিকা দিতে পারছে না। নাকের স্প্রের মাধ্যমেই টিকাটি শরীরে প্রবেশ করানো যাবে। শীতল রাখার প্রচলিত পরিবহন ব্যবহার করেই টিকাটি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে। বাড়তি কিছু দরকার হবে না এ কাজে।

টিকাটি নিয়ে ভিরাকর্পের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুনির বলেন, ‘সহজে পরিবহন করা যায় এবং নাকের মাধ্যমে দেওয়া যায়—এমন একটি টিকা টিকাদান কর্মসূচির জন্য ভারি অবকাঠামো ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দেবে। টিকা যেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রত্যন্ত এলাকার সম্প্রদায়ের কাছেও পৌঁছাতে পারে, তা নিশ্চিত করতেও সাহায্য করবে এটি।’

ইনসেপ্টা বছরে একক ডোজ ফরম্যাটে ১৮০ মিলিয়ন বা মাল্টি-ডোজ ফরম্যাটে ১ বিলিয়ন ডোজ নাসাল টিকা উৎপাদনে সক্ষম বলে জানিয়েছেন ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আব্দুল মুক্তাদির।

তিনি বলেন, ‘ইনসেপ্টা সবসময় নতুন টিকা পদ্ধতি এবং উৎপাদন প্রযুক্তি তৈরি ও  বিকাশের উপায় খোঁজে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের পাশাপাশি প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীগুলোকে টিকাদানের ক্ষেত্রেও একটি দারুণ সমাধান হবে টিকাদানের এই নতুন পদ্ধতি। এই সহযোগিতামূলক কার্যক্রম একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

এটি এবং সম্প্রতি ঘোষিত অন্যান্য অংশীদারিত্বের সম্পর্ক কোনদিকে যাবে, সে ব্যাপারে ভিরাকর্পের সিইও জন চ্যাডউইকও আত্মবিশ্বাসী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের রিসোর্সগুলোকে একত্রিত করে আমরা লজিস্টিক ও আর্থিকভাবে টিকাকে আরও সহজলভ্য করার জন্য কাজের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করব।’

ডা. মুনির বলেন, ‘ইনসেপ্টার সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের করোনার টিকা বিকাশের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। টিকাটি করোনার ভেরিয়েন্টের প্রকৃতি থেকে স্বতন্ত্রভাবে সুরক্ষা দেবে এবং সংক্রমণ আটকে দেবে।’

যুক্তরাজ্যের বায়োমেডিকেল ফার্ম ভিরাকর্প বিশ্বের সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের কাছে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। আর ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের টিকা প্রদানের প্রাথমিক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ শুরু করে।

আরো পড়ুন:

শুরুতে করোনার বুস্টার ডোজ পাবেন যারা

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *