আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ধূমকেতু বাংলা: মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে কারাদণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ওএইচসিএইচআর। এটিকে সেনাবাহিনীর সাজানো বিচার বলেও দাবি করেছে সংস্থাটি।
এদিকে সু চির রায় ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সাজা কমিয়ে দুই বছর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীর টেলিভিশন।
স্থানীয় সময় সোমমার মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ডের খবর চাউড় হতে হতে না হতেই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে বলা হয়, দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং সু চিকে আংশিক ক্ষমা করেছেন। সাজা কমিয়ে দুই বছর করার কথাও জানানো হয় খবরে।
সোমবার মিয়ানমারের নাইপিদোর একটি সামরিক আদালতে দেশটির গৃহবন্দী নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা হয়। সেনা সরকারের বিরুদ্ধে উসকানির জন্য দুই বছর এবং কোভিড-১৯ নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে আরও দুই বছরসহ মোট চার বছরের সাজা ঘোষণা করেন আদালত। তবে কোথায় সাজা ভোগ করবেন কারাগারে না গৃহবন্দী থাকবেন তা স্পষ্ট করা হয়নি।
গত ৩০ নভেম্বর রায় ঘোষণার কথা থাকলে পিছিয়ে ৬ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়। সোমবার আদালতে রায় ঘোষণার সময় সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি ছিল না। এমনকি সু চির আইনজীবীদেরও সংবাদমাধ্যমে কথা বলার অনুমতি দেয়া হয়নি।
সু চির বিরুদ্ধে আদালতের দেয়া রায়কে সাজানো উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ওএইচসিএইচআর।
ওএইচসিএইচআর মুখপাত্র রাভিনা সামদাসানি বলেন, ইয়াঙ্গুনে সাধারণ মানুষের মানুষের ওপর ট্রাক উঠিয়ে দেয়া, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে গুলি সেনাবাহিনীর গুলি করার মধ্যেই এ রায় দেয়া হয়েছে।
১০ হাজার রাজনৈতিক বন্দিসহ গ্রেফতার সবাইকে নির্শত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা। এছাড়া সেনা হেফাজতে নির্যাতনে এখন পর্যন্ত ১৭৫ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি আমরা।
চলতি বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় অং সান সু চিসহ তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির এনএলডি শীর্ষ নেতাদের।
সেনা হেফাজতে নেওয়ার চার মাস পর গত জুনে সু চির বিচার শুরু হয়। শান্তিতে নোবেল জয়ী এই নেত্রীর বিরুদ্ধে করোনাসংক্রান্ত বিধিনিষেধ ভঙ্গ ও সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে উসকানিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়। সবগুলোর মামলার রায়ে সাজা হলে আজীবন কারাগারে থাকতে হতে পারে তাকে। যদিও সবগুলো অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন তিনি।
সু চির পাশাপাশি আটক থাকা এনএলডির অন্য সদস্যদেরও বিচার চলছে। গত মাসের শুরুতে সাবেক একজন মন্ত্রীকে ৭৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সু চির এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে দেওয়া হয় ২০ বছরের কারাদণ্ড।
আরো পড়ুন: