মাতৃভূমি

‘ঢাকাই মসলিন হাউজ’ প্রতিষ্ঠা করছে সরকার: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা:  বাংলাদেশের সোনালী ঐতিহ্য মসলিনকে বড় পরিসরে বাণিজ্যিক রূপদানের জন্য ‘ঢাকাই মসলিন হাউজ’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, সোনালী ঐতিহ্যে ফিরে ঢাকাই মসলিন আবারও বিশ্ব মাতাবে। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড থেকে বাস্তবায়িত একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বিশ্ববিখ্যাত ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধার করে হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

মসলিনকে বড় পরিসরে বাণিজ্যিক রূপদানের জন্য ‘ঢাকাই মসলিন হাউজ’ প্রতিষ্ঠা করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। ঢাকার অদূরে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবতে জুটো-ফাইবার গ্লাস ইন্ড্রাস্ট্রিজের জমিতে এ ঢাকাই মসলিন হাউজ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমের সুবাদে ঢাকাই মসলিনের বাণিজিক উৎপাদনের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিপুল সংখ্যক লোকের, বিশেষ করে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।

২০১৯ সালে ৪ ডিসেম্বরকে জাতীয় বস্ত্র দিবস হিসেবে ঘোষণার পর প্রতিবছর এই দিনটি উদযাপন করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

দেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে বস্ত্রখাতের ভূমিকা অপরিসীম জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বস্ত্র শিল্পের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের গতি বেগবান করা এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা লক্ষ্য সামনে রেখে জাতীয় বস্ত্র দিবস দেশব্যাপী উদযাপন করা হবে। বর্তমানে বস্ত্রখাতে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমজীবী কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ শ্রমজীবী নারী এবং এসব কর্মকাণ্ড নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বিদ্যমান ও বিকাশমান বস্ত্র শিল্প কারখানার জন্য মানসম্মত বস্ত্র উৎপাদনে দক্ষ বস্ত্র প্রযুক্তিবিদ প্রয়োজন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বস্ত্র অধিদপ্তর সরকারি পর্যায়ে ৪১টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, ১০টি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এবং ৮টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মাধ্যমে স্বল্প খরচে বস্ত্র খাতের জন্য দক্ষ শ্রমিক, সুপারভাইজার, ডিপ্লোমা প্রযুক্তিবিদ ও স্নাতক পর্যায়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করে চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি বস্ত্র শিল্প কারখানায় সরবরাহ করছে। বস্ত্রখাতে দক্ষ জনবলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এ ধরনের আরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।

এবারের জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন; বাংলাদেশের উন্নয়ন। ’ এ উপলক্ষে আগামী ৪ ডিসেম্বর ওসমানী মিলনায়তনে বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এতে বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা ভাইরাস বিপর্যয়ের অভিঘাতে বস্ত্র খাতকে রক্ষায় অবদানের জন্য সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হবে।

আরো পড়ুন:

দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ান || ব্যবসায়ীর প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *