ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্ব নেতারা এতদিন চেষ্টা করেও যা করতে পারেননি, তা দুইদিনে করে দিলো করোনাভাইরাস। দক্ষিন আফ্রিকায় শনাক্ত নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে প্রভাব পড়েছে তেলের বাজারে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১০ শতাংশেরও বেশি। মার্কিন তেলের বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দর ১৩ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ৬৮ দশমিক ১৫ ডলারে নেমেছে। আর আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১২ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল বিক্রি হচ্ছে ৭২ দশমিক ৭২ ডলারে।
২০২০ সালের এপ্রিল মাসের এই প্রথম বিশ্ববাজারে তেলের দাম এতো কমলো।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারতসহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র সম্মিলিতভাবে স্ট্র্যাটেজিক পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ (এসপিআর) থেকে বিপুল পরিমাণ তেল বিশ্ব বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলো। কিন্তু যে আশা করা হয়েছিল, তা পূরণ করতে পারেনি নেতারা। বিশ্ববাজারে এই পদক্ষেপের প্রভাব একেবারেই সামান্য ছিল। তবে করোনার নতুন ধরনের ছড়ানোর খবর সামনে আসতেই কমতে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের দাম।
ওমিক্রনের ধাক্কায় যে শুধু তেলের বাজারে পড়েছে এমন না। দ্য গার্ডিয়ান জানায়, শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক করোনার নতুন ধরনের নাম ঘোষণার পরে ধস নেমেছে শেয়ারবাজারেও। যুক্তরাষ্ট্রের ডো জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজের সূচক কমেছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ, যা ২০২০ সালের অক্টোবরের পর থেকে তাদের সবচেয়ে কম। ইউরোপীয় শেয়ার বাজারও গত দেড় বছরের মধ্যে সবচেয়ে অবনমনের শিকার হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি শেয়ার কমেছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ও ভ্রমণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর। গড়ে এসব প্রতিষ্ঠানে শেয়ারদর কমেছে ১০ শতাংশের বেশি।
আরো পড়ুন:
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে দেশে দেশে পদক্ষেপ