নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: কর্মদিবসের প্রথম দিন রোববার (১৪ নভেম্বর) থেকেই রাজধানীর সড়কে বন্ধ হচ্ছে গেটলক ও সিটিং সার্ভিস। এসব সার্ভিসের নামে এক ধরনের নৈরাজ্য চলছিলো নগরীর গণপরিবহন খাতে।
এবার বাস মালিকরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে এই দুটো সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই অনুযায়ী রোববার থেকে নগরীতে চলছে না সিটিং ও গেটলক সার্ভিস।
এসব বাস সার্ভিস বন্ধের পর কোনও বাস এমন সেবার দোহাই দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করলে, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারিও দিয়েছে মালিকপক্ষ।
শনিবার, রাজধানীতে নতুন ভাড়া কার্যকর ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে, রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে বিআরটিএ ও পুলিশের চলমান যৌথ অভিযানের সময় পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার এনায়েত উল্লাহ এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, সিটিং সার্ভিসের নামে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট বাসের রুট পারমিট বাতিলের জন্য তারাই বিআরটিএ’কে জানিয়ে দেবেন।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে এই অভিযানে বেশ কয়েকটি পরিবহনকে এক থেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়াও ফেরত দেয়া হয়।
নগদ টাকা জরিমানা থেকে আরম্ভ করে প্রাসঙ্গিক অনেক বিধিও প্রয়োগ করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কারও কারও বিরুদ্ধে মামলাও দেয়া হচ্ছে।
শ্রমিকরা জানান, মালিকদের নির্দেশেই তারা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন। যদি মালিকদের বিরুদ্ধে এমন নির্দেশনা দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মহাসচিব।
পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার এনায়েত উল্লাহর দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকা মহানগরে ১২০টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৩টি কোম্পানির ১৯৬টি বাস সিএনজিতে চলাচল করে। দূর যাত্রায় সিএনজি চালিত বাস শূন্যের কোঠায়।
প্রশ্ন উঠেছে, বাকি ১০৭টি কোম্পানির সব গাড়ি কি তাহলে ডিজেলে চলছে? তথ্যটি আবার পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ডিজেল ও সিএনজিচালিত বাসে তারা স্টিকার লাগিয়ে দিয়েছেন। সিএনজিচালিত বাস আগের ভাড়াতেই চলবে। বাড়তি ভাড়া নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো পড়ুন: