শিল্প ও বাণিজ্য

৯ মাস পর বাংলাদেশ থেকে চীনে ফের রপ্তানি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: করোনায় কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ থেকে চীনে আবারও শুরু হয়েছে রপ্তানি। তবে প্রক্রিয়াজাতকরণে দেশটির নতুন করে দেওয়া বিভিন্ন শর্তের কারণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এ খাতের প্রায় ৯০ ভাগ ব্যবসায়ী। মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, প্রক্রিয়াজাত অবকাঠামো পরিদর্শন শেষে দ্রুতই অনুমোদন পাবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ থেকে কাঁকড়া ও কুচিয়া রপ্তানি হয়ে থাকে চীনসহ কয়েকটি দেশে। এর মধ্যে আমদানিকারক হিসেবে শীর্ষ দেশ চীন। করোনার কারণে ৯ মাস বন্ধ থাকার পর আবারও রপ্তানি শুরু।

তবে বাংলাদেশের প্রক্রিয়াজাতকরণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে পণ্যের মান নিশ্চিত করা ও সঠিক সনদ ব্যবহারসহ চীনের দেওয়া বেশকিছু শর্তে রপ্তানি তালিকা থেকে ছিটকে পড়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে মাত্র ৫টি প্রতিষ্ঠান রপ্তানির অনুমোদন পাওয়ায় পূরণ হচ্ছে না লক্ষ্যমাত্রা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।

তারা বলেন, চীনে প্রতিদিন পণ্য পাঠানো গেলে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে আনা যেত। চীনে এখন তেমন রপ্তানি হচ্ছে না।

এদিকে রপ্তানি শর্ত পূরণে আগের কারখানাগুলো সংস্কার করে আধুনিকায়নের কাজ শেষ করেছেন অনেকে। কিন্তু এখনো অনুমোদন পাচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা। যদিও মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, পরিদর্শন শেষে দ্রুতই মিলবে চীনের অনুমতি।

চীন আমাদের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ। ৫ প্রতিষ্ঠান অনুমতি পেলেও আরও কিছু আবেদন এসেছে আমাদের কাছে। আমরা যাচাই-বাছাই করে তালিকা দিয়েছি। আমরা আশা করছি, আমরা আরও প্রতিষ্ঠানের অনুমতি পাব।

করোনা পরিস্থিতির আগে প্রতি মাসে শুধু চীনেই ২৫ টন কাঁকড়া রপ্তানি হলেও বর্তমানে তা নেমে এসেছে ১৫ মেট্রিক টনে।

আর চলতি অর্থবছরের ৪ মাসে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়েছে ৮৮ কোটি টাকার কাঁকড়া।

আরো পড়ুন:

চলনবিলে আছে সাড়ে ৪শ’ হাঁসের খামার || কমেছে বেকারত্ব

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *