নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: ‘আমার বয়সী অনেকে মারা গেছে। স্বামীরও মৃত্যু হয়েছে। হাঁটতে সমস্যা হয়। এই বয়সে ভোট দিতে আসতাম না, শুধু পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়ী করতে কেন্দ্রে এসেছি।’ কথাগুলো বলছিলেন টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের টিকুরিয়াপাড়ার বাসিন্দা কদভানু (১০১)।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে লাঠিতে ভর করে মুন্সিগঞ্জ মোকছেদিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছেন শতবর্ষী এই নারী। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে কাকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ হয়েছে।
কদভানু বলেন, ‘এখন বয়স হয়েছে। শেষ বয়সে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে আনন্দিত। আমি অসুস্থ হওয়ায় কেন্দ্রে যাওয়া মাত্রই কর্মকর্তারা ভোট দিতে দিয়েছেন। ভোট দিয়েছি, এখন দেখি পছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে পারি কিনা।’
ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে নাতি শহিদের সঙ্গে বের হন কদভানু। সঙ্গে ছিলেন কদভানুর ছেলে একাব্বর আলী। একাব্বর বলেন, ‘আমার মা এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রে এসেছেন। ভোট দিতে পেরে মা অনেক খুশি হয়েছেন।’
তীব্র রোদে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে একই কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন অনেক নারী ভোটার। পুরুষ ভোটারের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
মুন্সিগঞ্জ মোকছেদিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি ভালো ছিল। শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট গ্রহণ হয়েছে। এই কেন্দ্রে কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি।’