নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: ভারত থেকে রেলযোগে আমদানি করা ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন এই প্রথম বেনাপোল বন্দরে খালাস করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে বেনাপোল বন্দরের ২ নম্বর গেটে অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে সরাসরি ট্যাংকারে তরল অক্সিজেন খালাস করা হয়।
এর আগে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম তীরে সিরাজগঞ্জে ভারতীয় অক্সিজেন এক্সপ্রেস থেকে ট্যাংকারে তরল অক্সিজেন খালাস করা হয়েছে।
বেনাপোল দিয়ে আমদানি করা অক্সিজেন কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সরাসরি সিরাজগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হতো খালাসের জন্যে।
অক্সিজেন আমদানি করছে লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড এবং রপ্তানি করছে লিন্ডে ইন্ডিয়া লিমিটেড। সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স সারথি এন্টারপ্রাইজ অক্সিজেনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে।
আমদানিকারকের প্রতিনিধি সিএন্ডএফ এজেন্ট’র মতিউর রহমান বলেন, ‘আগে ট্রেনে আমদানি করা অক্সিজেন সরাসরি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম তীরে সিরাজগঞ্জে খালাস করা হতো। সেখান থেকে পাঠানো হতো দেশের অন্যান্য স্থানে। এতে খরচ অনেক বেড়ে যেত।’
‘এখন থেকে ভারত থেকে রেলের অক্সিজেন এক্সপ্রেস বেনাপোল বন্দরে ট্যাংকারে আনলোড করে রাখা হবে। পরে চাহিদা অনুযায়ী অন্যান্য স্থানে পাঠানো হবে। এতে আমাদের পরিবহন খরচও অনেক কমে যাবে,’ যোগ করেন তিনি।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, ‘ভারতীয় রেলের অক্সিজেন এক্সপ্রেস ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন নিয়ে এসেছিল। প্রথমবার বেনাপোল বন্দরে অক্সিজেন খালাস করা হয়।’
এর আগে, গত ২৪ জুলাই ভারত থেকে রেলপথে বেনাপোল বন্দরে অক্সিজেন আমদানি শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ৪ হাজার মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি করা হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, নথিপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মঙ্গলবার মধ্যরাতে অক্সিজেন বহনকারী ভারতীয় ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়া হয়। রাজস্ব পরিশোধের পর চালানটি বেনাপোলে ট্যাংকারে খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
করোনা নিয়ন্ত্রণে সুইডেন-ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে: ইউএনপিএফ প্রতিনিধি