স্বাস্থ্য

ট্রাম্পের করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার হয়েছে রেমডেসিভির : যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ধূমকেতু ডটকম: গিলিয়েড সায়েন্সেসের ভাইরাস-প্রতিরোধী ওষুধ রেমডেসিভিরের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ব্যবহারের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার এফডিএ ওষুধটির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়।

এফডিএর এই পদক্ষেপের পর যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় অনুমোদন পাওয়া প্রথম ও একমাত্র ওষুধ হলো রেমডেসিভির।

ওষুধটি শিরায় দেওয়া হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করোনা চিকিৎসায় রেমডেসিভির ব্যবহার করা হয়েছিল।

আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের আগে গতকাল ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের সঙ্গে চূড়ান্ত বিতর্কে অংশ নেন। এই বিতর্কের কয়েক ঘণ্টা আগে রেমডেসিভিরের অনুমোদন দিল এফডিএ।

গত মে মাস থেকে এফডিএর জরুরি অনুমোদনের আওতায় রেমডেসিভির ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এখন তারা ওষুধটিকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদনই দিয়ে দিল।

অবশ্য গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, তাদের বৈশ্বিক গবেষণায় রোগীদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভিরের যথেষ্ট প্রভাবের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে ওই গবেষণা এখনো বাইরের গবেষকেরা পর্যালোচনা করেননি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা নিয়ে প্রশ্ন তোলে গিলিয়েড। তারা বলে, ওই গবেষণায় ‘পক্ষপাত’ থাকতে পারে।

‘ভেকলারি’ ব্র্যান্ড নামে রেমডেসিভির ওষুধটি বিক্রি হবে, ওষুধটির পাঁচ দিনের চিকিৎসা কোর্সের জন্য খরচ পড়বে ৩ হাজার ১২০ মার্কিন ডলার। তবে সরকারিভাবে কিনতে খরচ হবে ২ হাজার ৩৪০ মার্কিন ডলার।

গিলিয়েড জানিয়েছে, তারা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রেমডেসিভিরের চাহিদা পূরণ করছে। আর অক্টোবরের শেষ নাগাদ তারা বৈশ্বিক চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে। তাদের এই ওষুধ বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশে অনুমোদন বা সাময়িক অনুমোদন পেয়েছে।

গিলিয়েড জানিয়েছে, তারা রেমডেসিভিরের পূর্ণ সম্ভাব্যতা জানতে আরও কাজ করে যাচ্ছে। তারা অন্য ওষুধের সঙ্গে একত্রে রেমডেসিভির ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে। এ ছাড়া ইনহেলারের মাধ্যমে ওষুধটি গ্রহণের পদ্ধতি নিয়েও তারা কাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *