খেলাধুলা

ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটারদের পেনশনের পরিধি বাড়াচ্ছেন সৌরভ

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: সাবেক হয়ে যাওয়া ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য অবসর ভাতার ব্যবস্থা আগেই করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সৌরভ গাঙ্গুলী সভাপতি হয়ে এর পরিধি আরও বাড়ানো যায় কি না, ভাবছিলেন। অবশেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে সাবেক ক্রিকেটারদের অবসর ভাতার পরিধি বাড়ানোর। এখন থেকে কেবল সাবেক ক্রিকেটারই অবসর ভাতা পাবেন না, তাঁদের মৃত্যুর পর সেই ভাতা পাবেন ক্রিকেটারদের স্ত্রী অথবা স্বামী।

এত দিন বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে অবসর ভাতা পেতেন কমপক্ষে ২৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার। সৌরভের বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২৫ থেকে কমিয়ে সংখ্যাটা ১০ করার। এবার কমপক্ষে ১০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা সাবেক ক্রিকেটাররাই অবসর ভাতা হাতে পাবেন।

বিসিসিআইয়ে ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি হিসেবে আছেন সাবেক ওপেনার অংশুমান গায়কোয়াড়। তিনি বলেছেন এ কথা, ‘আমাদের সভায় এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছেন আগামী সভায় এ নিয়ে একটা প্রস্তাব দিতে তাঁকে। খুব শিগগিরই পেনশনগ্রহীতাদের পরিধি বাড়বে। এত দিন ২৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা ক্রিকেটাররা পেনশন পেতেন। এখন সেটি ১০ করা হবে।’

২০১২ সাল থেকে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটাররা পেনশন পেয়ে আসছেন। তবে এর আগে সাবেক ক্রিকেটারদের আর্থিকভাবে সুবিধা দিতে বিসিসিআই বেনিফিট ম্যাচের আয়োজন করত। ২০০২ সাল পর্যন্ত রঞ্জি ট্রফি, দিলীপ ট্রফি, ইরানি ট্রফি কিংবা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই বেনিফিট ম্যাচ আয়োজিত হতো। সুনীল গাভাস্কার, কপিল দেব, মহিন্দর অমরনাথ, বিজয় মাঞ্জরেকারদের মতো ক্রিকেটাররা বেশ অনেকবারই বেনিফিট ম্যাচ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার একটি ম্যাচ থেকে কপিল দেব ৩৫ লাখ রুপি ও মহিন্দর অমরনাথ ৫০ লাখ রুপি পেয়েছিলেন।

২০০৪ সালে প্রথমবারের মতো ১৭৪ জন সাবেক টেস্ট ক্রিকেটারকে অবসর ভাতার অধীনে আনা হয়। সে সময় অবসর ভাতার পরিমাণ সবার জন্যই সমান ছিল।

২০১২ সাল থেকে কয়েকটি শ্রেণিতে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটারদের অবসর ভাভা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। শ্রেণিভেদে অর্থের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন করা হয়। দেশের হয়ে ১-৬টি টেস্ট, ৭ থেকে ২৪ টেস্ট, ২৫ থেকে ৪৯ টেস্ট ও ৫ ও তদূর্ধ্ব টেস্ট খেলা ক্রিকেটারদের এই অবসর ভাতা দেওয়া শুরু হয়।

অবসর ভাতা ছাড়াও বিসিসিআই ভারতীয় ক্রিকেটারদের গ্র্যাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের ব্যবস্থা করে থাকে। করোনার কারণে গত মৌসুমে রঞ্জি ট্রফি না হওয়ায় প্রথম শ্রেণির যেসব ঘরোয়া ক্রিকেটার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিও পুষিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ নিচ্ছে সৌরভের বিসিসিআই।

আরো পড়ুন:

বিসিবি নির্বাচন ৬ অক্টোবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *