নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার সাফুয়া, ভাটিয়ালপুরে ভাসমান কচুরিপানায় সবজি চাষ করে লাভবান কৃষকরা। সেই সাথে বিষমুক্ত এই সবজি পুরো জেলার চাহিদা মিটিয়ে পাশাপাশি জেলায়ও বিক্রি হচ্ছে। স্বাস্থ্যসম্মত সবজি বিধায় দূর-দুরান্ত থেকে সচেতন ব্যক্তিরা এসেও সবজি ক্রয় করছে।

এখানে সবজির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, মিষ্টি কুমড়া, লালশাক, লাউ, শসা, পাটশাক, ধনিয়াপাতা, কলমিশাক, সরিষা, ডাটা, কচুশাকসহ বিভিন্ন সবজি। বিষমুক্ত সবজি চাষে উৎসাহ দিতে কৃষি বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে।

কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এখানে প্রায় সাড়ে ৬ একর জমিতে সারাবছর কৃষকরা ভাসমান কচুরিপানায় সবজি আবাদ করে থাকে। ফরিদগঞ্জ উপজেলার ডাকাতিয়া নদীসংলগ্ন পতিত, অনাবাদী ও জলাবদ্ধ স্থানে ডাকাতিয়া নদীর কচুরিপানার স্তূপ দিয়ে ভাসমান বেড তৈরি করে তন্মধ্যে কৃষকরা শাক-সবজির বীজ রোপণ করে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে থাকে।

কৃষক আবদুল কাদের ও মনির হোসেন বলেন, কৃষি অফিস আমাদের কচুরিপানার বেড তৈরি, জৈবসার, বিভিন্ন বীজ, জাল ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। যে কোনও রোগবালাই হলে কৃষি কর্মকর্তা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আমরা এই সবজি নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে পরিবার নিয়ে সুন্দরভাবে বেঁচে আছি।

উপজেলা কৃষি কমকর্তা আশিক জামিল মাহমুদ বলেন, সোবান , রামপুর , ধানুয়া,  শোল্লা, বাগপুর, পৌরসভার সাফুয়া ও ভাটিয়ালপুর মিলে মোট সাড়ে ৬ একর জমিতে কচুরিপানা দিয়ে তৈরি বেডে ১১০ জন কৃষক শাক-সবজি চাষাবাদ করেছে।  কৃষকরা বিষমুক্ত সবজি দিয়ে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় সরবরাহ করছে।

উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে ৪৬ জন উপ-সহকারি কৃষি কমকর্তা পদের বিপরীতে এখনমাত্র ১৭ জন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন। উপজেলায় আবাদযোগ্য জমি ১৩ হাজার হেক্টর, তন্মধ্যে আবাদ হচ্ছে ১০ হাজার হেক্টরে। তাই কৃষকদেরকে আগ্রহী করতে, ‘অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টিবাগান’ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

কৃষকের প্রায় ৮ কোটি টাকার ফসল বাঁচাতে পারে একটি ব্যাঙ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *