ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: নিয়মিত জাম্বুরা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ও পেটের নানা রকম হজমজনিত সমস্যার প্রতিকার হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক এক গ্লাস জাম্বুরার রস গ্রহণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। জাম্বুরায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি ও বি হাড়, দাঁত, ত্বক ও চুলে পুষ্টি যোগায় এবং সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। জ্বর, মুখের ঘা ইত্যাদি রোগে জাম্বুরা বেশ উপকারী।

জাম্বুরাতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় এটি রক্তনালির সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ডায়াবেটিস, জ্বর, নিদ্রাহীনতা, পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া কোলস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করে জাম্বুরা। নিয়মিত জাম্বুরা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ও পেটের নানা রকম হজমজনিত সমস্যার প্রতিকার হয়।

জাম্বুরা আন্ত্রিক, অগ্ন্যাশয় ও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এর লিমোনয়েড নামক উপকরণ ক্যানসারের জীবাণুকে ধ্বংস করে ও এর আঁশ মলাশয়ের ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

জাম্বুরা আঁশ দেহের অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত জাম্বুরা গ্রহণে শরীরের ওজন কমে। প্রচুর পটাশিয়াম থাকায় ধমনির আয়তন বৃদ্ধি করে রক্ত চলাচলের পথকে সুগম করে। ফলে দেহের বিভিন্ন প্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছানো সহজ হয়, যা হৃৎপিণ্ডের ওপর চাপ কমায় এবং স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ও অ্যাথেরোসক্লেরোসিসের আশঙ্কা হ্রাস করে।

আমাদের দেহে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়ামের অভাব হলে অস্টিওপোরোসিসসহ হাড়ের নানাবিধ রোগ দেখা দেয়। জাম্বুরাতে এই খনিজ উপাদানসমূহ পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।

নিয়মিত জাম্বুরা খাওয়া হলে অকাল বার্ধক্যের চিহ্নসমূহ হতে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও জাম্বুরায় স্পারমেডিন নামক একটি বিশেষ উপাদান রয়েছে। এটি বার্ধক্য প্রতিরোধে সহায়তা করে।

আরো পড়ুন:

বিস্ময়কর পুষ্টিগুণে ভরপুর পেয়ারা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *