হ্যালির ধূমকেতু সর্বশেষ কবে দেখা যায়

আজকের আর্টিকেলটি হচ্ছে হ্যালির ধূমকেতু নিয়ে এবং হ্যালির ধূমকেতু সর্বশেষ কবে দেখা যায় এ বিষয়ে জানবো। মহাকাশে এক ধরণের জ্যোতিষ্কের আবির্ভাব আমরা অনেকেই দেখতে পাই। যেটা আসলে ধূমকেতু।

মহাকাশে ধূমকেতুর সংখ্যা হচ্ছে ৩ হাজার ৭৪৩টি আর এটা জানা গিয়েছে নাসার তথ্য অনুযায়ী। দীর্ঘস্থায়ী ধূমকেতুর ক্ষেত্রে ঘূর্ণনকাল হয়ে থাকে ২০০ বছরেরও অধিক আর ক্ষণস্থায়ী ধূমকেতুর প্রতি ঘূর্ণনকাল ২০০ বছরের নিচে হয়।

আমরা আজ কথা বলছি হ্যালির ধূমকেতু নিয়ে যেটা হচ্ছে সবথেকে আলোচিত একটি ধূমকেতুর নাম। হ্যালির ধূমকেতু সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে ২০০ বছরের কম সময় নেয়। আজ থেকে প্রায় হাজার বছর পূর্বেও হ্যালির ধূমকেতু দেখা গিয়েছে বলে জানা যায়।

ব্যাবিলন, চীন এবং ইউরোপের পর্যবেক্ষকরা তখন হ্যালির ধূমকেতু দেখতে পাবার বিষয়টি নথিপত্রে লিখে রেখেছেন। ইতিহাস ঘটলে দেখা যায় কখনো কখনো বিজয়ী পক্ষের জন্য শুভ হিসেবে চিত্রিত এবং পরাজিত পক্ষের জন্য অশুভ হিসেবে ধরা হতো।

যেমন ১০৬৬ সালে হেস্টিংসের যুদ্ধে ইংল্যান্ডের রাজা হ্যারল্ড দ্বিতীয় পরাজিত হন, উইলিয়াম দ্য কংকারের কাছে। ফলে কংকারের কাছে ধূমকেতুটি প্রতীয়মান হয় বিজয় চিহ্ন হিসেবে।

ইংরেজ জ্যোতির্বিজ্ঞানী ‘এডমন্ড হ্যালি’ সর্বপ্রথম এই ধূমকেতু সূর্যকে কেন্দ্র করে একবার ঘোরার সময়কাল বের করেন। তার নামানুসারেই এই ধূমকেতুর নাম হ্যালির ধূমকেতু। হ্যালির ধূমকেতুর লেজ লম্বায় এক লাখ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে, অথচ এর নিউক্লিয়াস আকারে অনেক ছোট, যেটি লম্বায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার, প্রস্থে ও পুরুতে ৮ কিলোমিটার।

১৯৮৬ সালে যখন শেষবার এটি দৃশ্যমান হয় তখন বিজ্ঞানীরা আকাশযান ব্যবহার করে এটি পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পান। যেমন আগে ধারণা করা হতো যে এতে গলন্ত বরফের পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু এ পর্যবেক্ষণে প্রমাণিত হয় আসলে এর পরিমাণ অনেক কম। প্রতি ৭৫ বছর পরপর খালি চোখে এই ধূমকেতু দেখা যায়। এরপর ২০৬১ সালের ২৮ জুলাই আবার হ্যালির ধূমকেতুটি দেখা যাবে।

প্রতি ৭৫ – ৭৬ বছর পরপর হ্যালির ধূমকেতু আকাশে দৃশ্যমান হয়ে উঠে। এই ধূমকেতু হচ্ছে একমাত্র স্বল্পমেয়াদী ধূমকেতু যা খালি চোখেও স্পষ্ট দেখা যায়।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *