সঙ্গীতশিল্পী কেকের মৃত্যু

মঙ্গলবার (৩১ মে) সঙ্গীতশিল্পী কেকের মৃত্যু। কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। সঙ্গীতশিল্পী কেকের মৃত্যুতে সকলেই হতবাক কারণ এ যেন মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির একটি বড় হারানো। । মৃতুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪। তার মৃতদেহ রাখা হয়েছে কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতালে।

কেকে মনেপ্রাণে একজন গানের মানুষ ছিলেন। জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোবেসেছেন গানকে। বুধবার (১ জুন) তার দেহ ময়নাতদন্ত করা হবে। ইতোমধ্যেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন শিল্পীর স্ত্রী ও ছেলে। মুম্বাই থেকে সকাল ৭টা নাগাদ রওনা দেন তারা। কলকাতা বিমানবন্দরে পা রাখতেই পরিবারের সদস্যদের সামনে এসে যান সাংবাদিকরা। যদিও কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি শিল্পীর স্ত্রী। গাড়িতে করে বিমানবন্দর থেকে রওনা দেন। কিন্তু তাদের গন্তব্য ঠিক কোথায় তা এখনও নিশ্চিত নয়।

তার এ অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য কলকাতার পুলিশ একটি মামলা করেছে। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, কেকের কপাল ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শারীরিক অসুস্থতা নাকি অন্যকোনো কারণে সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

কেকের সহকারী, গ্র্যান্ড হোটেলের শিফট ম্যানেজার ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। এমন তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এবিপি আনন্দ।

মঙ্গলবার (৩১ মে) কলকাতার নজরুল মঞ্চে গানের অনুষ্ঠান ছিল কেকের। অনুষ্ঠানে গান করার সময়ই নাকি হালকা অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। হোটেলে ফেরার পর অনুরাগীরা তার সঙ্গে সেলফি তুলতে চাইলে তিনি জানান, তার ভালো লাগছে না। আগামীকাল (বুধবার) তিনি ছবি তুলবেন। কিন্তু ভক্তদের সেই আবদার আর পূরণ করা হলো না। প্রিয় গায়কের সঙ্গে সেলফি তোলার স্বপ্ন পূরণ হলো না অনুরাগীদেরও। সবাইকে চমকে দিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ।

১৯৬৮ সালের ২৩ অগাস্ট, দিল্লিতে জন্ম কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের। সঙ্গীত দুনিয়ায় কেকে নামেই পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি। বলিউডে বহু প্লে-ব্যাক করেছেন। হিন্দি ছাড়াও বাংলা, তামিল, তেলুগু, কন্নড়, গুজরাতি, মারাঠী ভাষাতেও বহু গান গেয়েছেন। ইন্ডিয়ান পপ, রক মিউজিকে আলাদা করে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছিলেন কেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *