জাতীয়শিক্ষা ও সাহিত্যসর্বশেষ

উপাচার্য সহ বিভিন্ন পদে শূন্য পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

উপাচার্য সহ বিভিন্ন পদে শূন্য পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য সহ বিভিন্ন পদে শূন্য পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। শূন্য রয়েছে ট্রেজারার ও প্রো-ভিসির পদ। বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকেই রেজিস্ট্রারের পদ শূন্য। দীর্ঘদিন চূড়ান্ত পরীক্ষার রেজাল্ট না হওয়ায় তৈরি হচ্ছে সেশন জট।

স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অবস্থা। স্ব-স্ব বিভাগ চলছে নিজস্বভাবে নিজেদের মতো করে। ভেঙে পড়েছে চেন অব কমান্ড। কেউ কারো কথা শুনছে না, এমন অবস্থা পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির পর থেকে এমন সংকটে কখনো পড়েনি এই বিশ্ববিদ্যালয়, জানান একাধিক শিক্ষক।

সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এমন অবস্থার কথা জানা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) বিজন কুমার ব্রহ্ম জানালেন, ৭ মার্চ থেকে শূন্য রয়েছে ভিসির পদ। ট্রেজারারের পদ শূন্য রয়েছে ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টম্বর থেকে, আর প্রো-ভিসির পদ শূন্য রয়েছে ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারির বেতন বন্ধ মার্চ মাস থেকে।

বিজন কুমার ব্রহ্ম জানান, ভিসি না নিয়োগ হওয়া পর্যন্ত কেউ বেতন পাবেন না। সামনে পহেলা বৈশাখ ও ঈদ বোনাস থেকে বঞ্চিত হতে হবে। ভিসি না নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত একমাত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয় পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ডিনকে দায়িত্ব প্রদান করতে। আমরা আশা করি, সরকার দ্রুত ভিসি নিয়োগ করে সমস্যা সমাধান করবে।

পাবিপ্রবি প্রক্টর ড. হাসিবুর রহমান বলেন, বিশ্বদ্যিালয়ের বিভাগগুলো এখন নিজের মতো করে চলছে। বেতন বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেতন না পেলে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে অনেকের ঈদ করা বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি প্রতিদিনের বাজার করতেই অনেকের হিমশিম অবস্থা।

বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. ওমর ফারুক জানান, বেতন না পেয়ে অনেক শিক্ষকের সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আমরা এর দ্রুত সমাধান চাই।

পাবিপ্রবির মালি পদে চাকরিরতম জাকিউদ্দিন সাকি জানান, বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র উপদেষ্টা ড. সমীরন কুমার সাহা বলেন, উপাচার্য না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশে সমস্যা হচ্ছে। কারণ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলে উপাচার্যের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়।

নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রঞ্জন রায় বলেন, ভিসি স্যার না থাকায় সেশনজট প্রকট আকার ধারণ করেছে। আমরা অবিলম্বে নতুন ভিসি স্যারের নিয়োগ চাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সুরুজ্জামান জানান, ভিসি স্যার না থাকায় আমাদের পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল পেতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে নতুন করে পরীক্ষা দিতে পারছি না।

বাংলাদেশ ইতিহাস ও স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র উজ্জল বিশ্বাস জানান, ভিসি স্যার না থাকায় আমাদের সব একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অবস্থার কারণে আমাদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *