সতেজ, উজ্জ্বল, দাগহীন, মসৃণ ত্বক সবাই চান। কিন্তু এর জন্য বেশ কিছুটা সময় ব্যয় করার মতো সময় হয়তো অনেকেই পান না। আবার অনেকের কাছে সারা দিনের কাজের শেষে  সৌন্দর্যচর্চায় আবার বাড়তি সময় ব্যয় করা নিতান্তই ঝামেলার। রূপচর্চার পেছনে সময় বা অর্থ ব্যয় করাকে অপচয় ভাবেন অনেকে। তাই বলে সুন্দর থাকতে মানা? মোটেও তা নয়। অল্পস্বল্প যত্ন নেওয়া যায়, তবে তা করতে হবে নিয়মিত। এতেও কাজ হবে অনেকটা। যেটুকু একেবারে না করলেই নয়, সেটুকুর সঙ্গে কিছু শর্টকাট কৌশল যোগ করে নিলেই হবে।

পানিতেই সমাধান

যাঁরা সময় ও পরিশ্রম দুটিই ব্যয় করতে নারাজ, তাঁরা যদি শুধু নিয়মিত পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করেন, তাহলেও ২০ শতাংশ কাজ হয়ে গেল। সবাই জানেন ত্বক আর চুল ভালো রাখতে পানি অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। পাশপাশি সারা দিনে কতটা পানি পান করা হচ্ছে, চুল ও ত্বক কতটা পানি পাচ্ছে, তার একটা হিসাব রাখা যেতে পারে। সারা দিনে আর কিছু না করুন, ভিজে তোয়ালে দিয়ে কয়েকবার মুখ চেপে মুছে নিন বা পানির ঝাপটা দিন। এ ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানির ব্যবহারই ভালো। আর পানির ঝাপটা দিলে সঙ্গে সঙ্গে আলতো করে মুখ মুছে নিতে হবে। পানি ত্বক তরতাজা ও আর্দ্র রাখে। আরেকটু সময় ব্যয় করতে চাইলে সকালে ও রাতে হাইড্রেটিং ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, ত্বকে পানির ঘাটতি না হলে অর্ধেক সমস্যাই কমে যাবে।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে

ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে দাঁতের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ত্বকেরও কিছুটা যত্ন নিলেই হয়ে গেল। এতে বাড়তি সময় ব্যয় করার প্রয়োজন হলো না। এতে অ্যাকনে, খসখসে ঠোঁট ও শুষ্ক ত্বকের সমস্যার সমাধান হতে পারে। কেউ চাইলে যে টুথপেস্ট দাঁত ব্রাশের জন্য ব্যবহার করছেন, তা অ্যাকনের ওপর লাগিয়ে নিন। আর টুথব্রাশ দিয়ে আলতো করে ঠোঁটজোড়া ঘষে নিন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখবেন ঠোঁট যেমন নরম হয়েছে, তেমনি অ্যাকনেও মিলিয়ে গেছে। তবে এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, সব ধরনের অ্যাকনে কিন্তু টুথপেস্টে দূর হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *