ডেস্ক নিউজ, সুখবর ডটকম: ব্যারেন বিপ্লবের ৩৩ তম বার্ষিকী উপলক্ষে ৫ এপ্রিল, ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গনে সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বিকেএ)।

সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ পূর্ব তুর্কিস্তানের অবৈধ দখল এবং উইঘুর মুসলমানদের উপর নৃশংসতার জন্য চীনের নিন্দা করেন। সম্মেলনে ২৫০-৩০০ জন বিক্ষোভকারী উপস্থিত ছিলেন। তারা পূর্ব তুর্কিস্তানে হান চীনাদের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন এবং চীনা সরকারকে এ ধরনের উগ্রতা বন্ধ করার আহ্বান জানান। পূর্ব তুর্কিস্তানের বাসিন্দাদেরকে চীনা নৃশংসতা থেকে মুক্তি প্রদানের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। একইসাথে উইঘুর মুসলমানদের সমর্থন জানানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।

অন্যদিকে ইসলামী প্রগতিশীল জনতা ফ্রন্ট, এ দিনকে স্মরণ করে ঢাকার পুরানা পল্টন এলাকার বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট মিলনায়তনে আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। দোয়া মাহফিলে যোগ দেন, নিজাম-ই-ইসলামের মাওলানা আবদুর রশিদ মজুমদার, বিকেএ এর মাওলানা আবু জাফর কাশেমী, বাংলাদেশ জমিয়াতে উলামা ইসলামের মাওলানা শহিদুল ইসলাম, আলেম মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ফোরামের উপদেষ্টা মাওলানা কবিরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের ঢাকা শহরের সেক্রেটারি জেনারেল, মাওলানা আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া। তারা সবাই উইঘুর মুসলমানদের উপর চীনা বর্বরতার কথা তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ মোহাজির ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিটি (বিএমডব্লিউডিসি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের আয়োজন করে। এ সময় উইঘুরদের উপর চীনা সরকারের অত্যাচার সম্পর্কিত লিফলেট বিতরণ করে ১৫০-২০০ জন উপস্থিত বিক্ষোভকারীরা। তারা চীনা দূতাবাসে একটি স্মারকলিপিও প্রদান করে।

অপরদিকে উইঘুর মুসলমানদের উপর চীনা অত্যাচারের বিষয় তুলে ধরতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পথনাটকের আয়োজন করে ওপেন ডায়ালগ বাংলাদেশ। বিক্ষোভকারীরা উইঘুর গণহত্যার জন্য চীনের নিন্দা করেন। সেইসাথে উইঘুর মুসলমানদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে ব্যানার ও পোস্টার প্রদর্শন করেন বিক্ষোভকারীরা।

উইঘুর মুসলমানদের উপর চীনা নৃশংসতা ও গণহত্যার বিষয় তুলে ধরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে গাজীপুরের সচেতন নাগরিক সমাজ। ব্যারেন বিপ্লব সম্পর্কে সচেতন নাগরিকেরা উইঘুর মুসলমানদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে। দ্বিচারিতা প্রদর্শনের জন্য চীনের নিন্দা করে তারা।

রংপুর প্রেসক্লাবের কাছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের সামনে প্রতিবাদসভা ও আলোচনাসভার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এ অনুষ্ঠানে প্রায় ৩০০-৪০০ জন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় রংপুরের মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক, মো. মুরাদ কাউসার বলেন, ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর নাগরিককে জোরপূর্বক আটক করে রেখেছে চীন। পাকিস্তানিরা যেমন বাংলাদেশিদের উপর গণহত্যা চালিয়েছিলো, ঠিক তেমনি চীন উইঘুরদের উপর গণহত্যা চালাচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা চীনকে বিশ্বের সবেচেয়ে বড় নিপীড়ক রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করে।

ব্যারেন বিপ্লব স্মরণে, খুলনায় এনজিও “আলোকিত ফাউন্ডেশন” এবং “সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন” মানববন্ধন এবং মিছিলের আয়োজন করে। ইমাম এবং মাওলানাসহ এ মানববন্ধনে ১৫০-২০০ জন বিক্ষোভকারীরা অংশ নেন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে উইঘুর মুসলমানদের উপর চীনা বর্বরতার বিষয়ে আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (বিআইএফ)। অনুষ্ঠানটিতে প্রায় ৬০০ জন উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিআইএফ-এর চেয়ারম্যান, মাওলানা এমএ মতিন চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চীনের সমালোচনা করেন। মুসলিম উম্মাহকে চীনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিবাদ জানানোর এবং বাংলাদেশের মানুষদের চীনকে বয়কট করার আহ্বান জানায় বিআইএফ।

এমএইচডি/আইকেজে 

আরো পড়ুন:

অরুণাচলের ১১ স্থানের নতুন নাম দিল চীন, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *