লাইফস্টাইল ডেস্ক, সুখবর ডটকম: গ্রীষ্ম না আসলেও চৈত্রের রোদ তা জানান দিয়ে যাচ্ছে। প্রচন্ড গরমে ঝরঝরে ঘাম, রাজ্যের পিপাসা, পানিশূণ্যতা, হিট স্ট্রোক, শারীরিক দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা, ঘামাচি, গরম থেকে ঠান্ডা লাগা, খাদ্যে বিষক্রিয়া- কত সমস্যা হতে পারে মানুষের শরীরে। একটু সতর্ক থেকে বছর শুরুর এই ঋতুতে সুস্থ থাকা সম্ভব। এর জন্য দরকার পর্যাপ্ত পানি পান।

গ্রীষ্মের গরমে ঘেমে ঘেমে কমে যায় শরীরের পানি। সেই সাথে খনিজ লবণ। পানির এ ঘাটতি পূরণ করতে পান করুন পর্যাপ্ত পানীয়। পানিশূণ্যতা প্রতিরোধের জন্যও পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। দৈনিক আট গ্লাস বা তার চেয়ে বেশি পানি পান করা উচিৎ। পান করুন ততক্ষণ যতক্ষণ না তৃষ্ণা মিটে। আর তৃষ্ণা পেলেই পান করুন পানীয়। ঠান্ডা বিশুদ্ধ পানিই উৎকৃষ্ট পানীয়। ফ্রিজের অতি ঠান্ডা পানি নয়, তা গলা ব্যথার কারণ হতে পারে।

গরমে শিশুরা পানিশূণ্যতায় আক্রান্ত হয় বড়দের চেয়ে দ্রুত। তাই শিশুরা যেন পর্যাপ্ত পানি পান করে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। চিনির সরবত প্রয়োজন নেই মোটেও। বাইরের সরবত বা ফলের রস খাওয়ার পূর্বে এগুলোর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে নিশ্চিত হোন। আইসক্রীমের ঠান্ডায় গলা ব্যথা হতে পারে। জীবাণুমুক্ত না থাকলে হতে পারে জন্ডিস, আমাশয়, ডায়রিয়া, টাইফয়েড।

মৌসুমী ফলও পানির চাহিদা মিটাবে। মিটাবে ক্ষুধাও। শক্তিও দেবে বেশ। তাই যথেষ্টই আহার করুন তরমুজ, শশা, পেঁপে, লিচু, আম, কলা, বেল, বাঙ্গি ইত্যাদি ফল। শরীর ঠান্ডা থাকবে। তবে অনেক বেশি খেয়ে বদহজম, পেট খারাপ যেন না হয়, সে খেয়ালও রাখুন।

শরীর যখন ঘামে তখন ঘামের সাথে শরীরের লবণও বের হয়ে যায় যথেষ্ট পরিমাণে। শরীরে লবণের ঘাটতি হলে শরীর হয়ে পড়ে দুর্বল, ক্লান্ত। মাংসপেশিতে হতে পারে খিঁচুনি। লবণের এ ঘাটতিও পূরণ হওয়া চাই। ফলমূল এ ঘাটতি পূরণে অবশ্যই সহায়ক। খাবার স্যালাইনও পান করতে পারেন প্রয়োজনে।

আপনার অফিসের ডেস্কে, পড়ার টেবিলে, বা হাতের কাছে সব সময় পানির বোতল রাখুন, একটু পর পর পানি পান করুন। অনেকে পানি না পান করে আলসেমি করে বসে থাকেন, তাই হাতের কাছে সব সময় পানি রাখুন।

ব্যায়াম করার আগে ও পরে পানি পান করুন। প্রতি ২০ মিনিটে এক গ্লাস পানি পান করতে হবে। আপনি যদি গরম আবহাওয়ায় অনেক সময় ধরে, high intensity ব্যায়াম করেন, বা খেলাধুলা করেন, তবে অনেক বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। সাধারণত: এক ঘন্টার বেশি হলে electrolyte যুক্ত পানি বা স্পোর্টস ড্রিংক পান করতে হবে। তা নাহলে, সাধারণ পানি পান করলেই চলবে।

আপনি যদি সারাদিন বা অধিকাংশ সময় air conditioner/room heater ব্যবহার করেন, তাহলে পানি পান করা বাড়াতে হবে। কারণ এই যন্ত্র শরীর ও ত্বক থেকে পানি শুষে নেয়

এমএইচডি/আইকেজে 

আরো পড়ুন:

শরীর যেভাবে জানান দেয় পানির অভাব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *