লাইফস্টাইল ডেস্ক, সুখবর ডটকম: আতা ফল খেতে যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি এর রয়েছে নানান রকম পুষ্টিগুন। ভিটামিন এ, ফাইবার, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি ৬, কপার, আয়রন ইত্যাদির খুব ভালো উৎস আতা ফল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে আতা ফল। আসুন জেনে নেই আতা ফলের কার্যকারিতা সম্পর্কে-

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে-

আপনি যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, তাহলে রক্তে গ্লুকোজ লেভেল কমাতে এই ফল খেতে পারেন। আতা ফলে যে আঁশ থাকে, তা শরীরে চিনির মাত্রা কমায়।

হৃদরোগ প্রতিরোধ করে-

আতা ফলে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়া এই ফলে ভিটামিন বি সিক্স থাকে, যা হোমোসিসটিন নামের যে অ্যামাইনো অ্যাসিড যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়, তা নিয়ন্ত্রণ করে।

ক্ষত সারায়-

আতার বিচিতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, আতা ফলের বিচি ছোটখাট ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারে। এই বিচিগুলো ত্বকের কোষ পুনরায় জন্মাতে ও ব্যথা সারাতে সাহায্য করে।

হজমে সহায়তা করে-

আতা ফলে প্রচুর কপার ও আঁশ থাকে, যা হজমে সহায়তা করে ও বাওয়েল মুভমেন্ট ভালো রাখে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মতে শুকনো আতা ফলের গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে খেলে ডায়ারিয়া প্রতিরোধ করা যায়।

ক্যানসার প্রতিরোধ করে-

আতা ফলে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান ধ্বংস করে দেয়।

ত্বক ও চুলের যত্নে-

আতা ফল থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। এই ভিটামিন ত্বক ও চুলের জন্য বেশ উপকারী। আতা ফলের নরম অংশ ত্বক ও চুলে ব্যবহার করলে তা ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

অ্যাজমা রোধে আতা ফল-

আতা ফলে ভিটামিন বি ও সিক্স থাকে প্রচুর পরিমানে, যা শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা ও অ্যাজমা রোধ করে।

তথ্যসূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া

এমএইচডি/ আই. কে. জে/

আরো পড়ুন:

তারুণ্য ধরে রাখে ডাবের পানি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *