করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সোমবার থেকে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিসগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অর্ধেক সংখ্যক কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়ে পরিচালনার নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এক্ষেত্রে অসুস্থ ব্যক্তি এবং গর্ভবতী নারীরা বাসা থেকে অফিস করবেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যারা সাধারণত গর্ভবতী নারী, যারা অসুস্থ- এরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ঘরে থেকে অফিস করবেন। বিশেষ করে জুম, ই-নথি, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তারা তাদের কাজগুলো চালিয়ে নেবেন।’
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলক সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, মাস্ক ছাড়া বের হলে এখন থেকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে। সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ এটি বাড়তে থাকবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা চাই, এই তৃতীয় ঢেউ থেকে যত তাড়াতাড়ি উত্তোরণ করতে পারি। সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য সবাই মাস্ক পরুক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্ধেক জনবল নিয়ে অফিস করার বিষয়টি সোমবার থেকে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। যেহেতু তৃতীয় ঢেউয়ে আছি, আমাদের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে এ রকম নির্দেশনা ছিল, সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করেছি। যার কারণে অর্ধেক সংখ্যক নিয়ে যে অফিস করা এবং এরও কম সংখ্যক নিয়ে অফিস করার প্রাকটিস করেছি। সেইজন্য আমাদের প্রাকটিস আছে।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যা কার্যকর হয় ১৩ জানুয়ারি থেকে।
