বিশ্ব রক্তদাতা দিবস আজ

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস আজ আর প্রতি বছর ১৪ জুন এই দিনটি সারাবিশ্বে পালিত হয় রক্তদাতা দিবস হিসেবে। যারা স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন তাদেরসহ সাধারণ জনগণকে রক্তদানে উৎসাহিত করাই এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য।

এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘রক্তদান সংঘবদ্ধতারই প্রকাশ, এ কাজে যুক্ত হোন, জীবন বাঁচান’। রক্তদাতা বীরের উদ্দেশে, উৎসর্গকৃত আন্তর্জাতিক রক্তদাতা দিবস পালনের দিন ১৪ জুন ধার্য করা হলেও এই দিনটির একটি আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।

কারণ দিবসটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিজ্ঞানী কার্ল লান্ডস্টাইনারের নাম। এই নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছিলেন রক্তের গ্রুপ ‘এ, বি, ও, এবি’। তাই তার জন্মদিনেই রক্তদাতা দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

১৯৯৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক রক্তদান দিবস পালন এবং ২০০০ সালে ‘নিরাপদ রক্ত’-এই থিম নিয়ে পালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০০৪ সালে প্রথম পালিত হয়েছিল বিশ্ব রক্তদান বা রক্তদাতা দিবস। ২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনের পর থেকে প্রতি বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ দিবস পালনের জন্য তাগিদ দিয়ে আসছে।

এ বছর বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজক দেশ মেক্সিকো। এ দিনটিকে কেন্দ্র করে বৈশ্বিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে দেশটির রাজধানী শহর মেক্সিকো সিটিতে।

সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। বাংলাদেশে দিবসটি পালনে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি এবার এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে চার লাখ রক্তদাতার সর্বোচ্চ ডোনার পুল নিয়ে মানবিক সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।

২৪ ঘণ্টা সেবাদানকারী মানবিক সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ১৯৯৬ সাল থেকে রক্তদান কার্যক্রম শুরু করে। ২০০০ সালে নিজস্ব আধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত সকল নিয়ম মেনে নিরাপদ রক্তের গুরুত্বপূর্ণ উৎসে পরিণত হয়।

এ পর্যন্ত কোয়ান্টাম ১৪ লাখ ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান সরবরাহ করেছে। প্রসেসিং খরচ দেয়ারও সামর্থ্য নেই- এমন অসংখ্য মানুষকে সম্পূর্ণ ফ্রি রক্ত সরবরাহ করেছে সংগঠনটি। ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে সংস্থাটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ল্যাব সরবরাহ করেছে প্রায় ৮৫ হাজার ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান।

তাই ২০২২ সালে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রক্তদাতাদের পদযাত্রা, ব্লাড ক্যাম্প ও রক্তদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠান।

সূত্র: বাসস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *