স্বাস্থ্য

দেশে এলো ফাইজারের কোভিড টিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে গঠিত টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকার একটি চালান গতকাল সোমবার রাতে দেশে এসে পৌঁছেছে। রাত সোয়া ১১টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এই টিকা ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।

ফাইজারের টিকা বিনামূল্যেই পেয়েছে বাংলাদেশ। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ও সিনোফার্মের তৈরি টিকার মতো ফাইজারের টিকাও নিতে হবে দুই ডোজ করে। প্রথম ডোজ দেওয়ার ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ পর দিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর ও ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞরা গতকাল রাতে বিমান বন্দরে উপস্থিত থেকে টিকার চালান বুঝে নিয়েছেন।”

আরও পড়ুন: রাতে আসছে ফাইজারের করোনা টিকা

মহাখালীতে অবস্থিত সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির হিমাগারে এসব টিকা রাখা হবে বলে জানান ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার ও সিনোফার্মের পর তৃতীয় টিকা হিসেবে বাংলাদেশে এসেছে ফাইজারের কোভিড-১৯ টিকা। যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের তৈরি এই টিকা ইতোমধ্যে দেশে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে।

গত ১৯ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক কোভ্যাক্সের প্রথম চালানে ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা আসার খবর দিয়েছিলেন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বাংলাদেশে গত ফেব্রুয়ারিতে গণটিকাদান শুরু হয়েছিল ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড দিয়ে। সাড়ে ৩ কোটি ডোজ টিকা কিনতে সেরাম বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেও ৭০ লাখ ডোজ দেওয়ার পর ভারত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় আর টিকা আসেনি।

গত ১২ মে উপহার হিসেবে সিনোফার্মের তৈরি টিকার ৫ লাখ ডোজ পাঠায় চীন। এরপর বাণিজ্যিকভাবে চীনের কাছ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ টিকা কেনার চুক্তি করে বাংলাদেশ। চলতি মাসে সেটার ৫০ লাখ ডোজ দেশে আসার কথা রয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়া থেকে আরও ৬০ লাখ ডোজ টিকা কিনবে সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *