মাতৃভূমি

অভিন্ন চার নদীর সীমানা নির্ধারণ শেষ করার উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: বাংলাদেশ ও ভারতের ৫৪টি অভিন্ন নদীর মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার চারটি নদীর সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে কাজ করছে দুই দেশের সরকার। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই নদীগুলো হচ্ছে ইছামতি, কালিন্দি, রায়মঙ্গল ও হাড়িয়াভাঙ্গা।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, কিছু অভিন্ন নদী সরাসরি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আবার কয়েকটি নদী আছে যেগুলোর মিডল পয়েন্টই দুই দেশের সীমানা।

এই চারটি নদীর বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা হবে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ১৯৫৪ সালে মে মাসে তৎকালীন পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে আলোচনায় ওই নদীগুলোর সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যেহেতু ওই নদীগুলোর সীমানা আগেই নির্ধারণ করা হয়েছে, সেজন্য আগের সিদ্ধান্তের আলোকে আমরা ভারতীয়দের বিষয়টি সুরাহা করার জন্য বলবো।

উল্লেখ্য, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের ল্যান্ড জরিপের কর্মকর্তা এস এ মজিদ ও ভারতের ল্যান্ড রেকর্ডের কর্মকর্তা ডি গুপ্তা সীমানা নির্ধারণী ম্যাপে স্বাক্ষর করেছিলেন।

‘রহিমপুর খাল’-এর বিষয়টিও সুরাহা হবে

বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সিলেটে সেচ কাজের সুবিধার জন্য রহিমপুর খাল খনন করা হয়েছিল; যার মাধ্যমে কুশিয়ারা নদীর পানি সেচ কাজে ব্যবহার করা যায়। এই খালের একটি অংশ সীমান্তের খুব কাছে হওয়ায় এটি খননে বাধা দিচ্ছে ভারত। এর ফলে বাংলাদেশের প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমি সেচ কাজে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বছরের মার্চে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকে বিষয়টি আলোচিত হয় এবং দ্রুত সমাধানের জন্য উভয়পক্ষ রাজি হয়।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে আরেক কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি সুরাহার জন্য একটি সমঝোতা স্মারকের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার ঢাকা সফরের সময়ে বিষয়টি তাকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি চলছে : প্রধানমন্ত্রী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *