সুন্দর ত্বকের যত্নে ৫টি ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার
শীতকালে সব ত্বকের জর্ন্য দরকার বাড়তি যত্ন। শুষ্ক ত্বক হলে কোনো কথা নেই। এইসময় তৈলাক্ত ত্বকও অনেকবেশি শুষ্ক হয়ে যায়। তাই শীতেরসময় ত্বককে সব সময় ময়েশ্চারাইজ রাখতে হয়। বাজার ঘুরলে অনেক রকমের লোশন পাওয়া যায়। কিন্তু বেশিরভাগ সময় লোশন ব্যবহারে ত্বক কালো দেখা যায়। আর এই সমস্যার কারণে অনেক লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকেন। এতে ত্বক লাবণ্য হারিয়ে ফেলে। প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা সম্ভব। এটি ত্বক কালো না করে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
১। মধু এবং ডিমের কুসুম
শুষ্ক ত্বকের জন্য মধু এবং ডিমের কুসুম অনেক ভালো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। সমপরিমাণের মধু এবং ডিমের কুসুম ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মুখ ও ঘাড়ে ভাল করে লাগিয়ে নিন। এরপর ভালোভাবে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফল পেতে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২। অলিভ অয়েল
অনেকেই বডি লোশনের পরিবর্তে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে থাকেন। এই অলিভ অয়েল শরীরের অন্যান্য অংশের পাশাপাশি মুখে ও ব্যবহার করতে পারেন।অলিভ অয়েল সরাসরি মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া আপনার নিয়মিত ব্যবহৃত লোশনের সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। গোসলের আগে অলিভ অয়েল হাত-পা সহ সারা শরীরের ম্যাসাজ করুন। তারপর গোসল করুন। গোসল এর পর হালকা কোন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
৩। মধু এবং দুধ
দুই টেবিল চামচ মধু এবং দুই টেবিল চামচ দুধ মিশান। এটি মুখে লাগান। কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে থাকে।
৪। অ্যালোভেরা এবং দুধ
অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে নিন। অ্যালোভেরা জেলের সাথে দুই টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন ।এই প্যাকটি মুখ এবং ঘাড়ে ব্যবহার করুন। ১০-১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বকের অন্যান্য সমস্যায় ও সমাধান করে থাকে।
৫। টকদই এবং কলা
অর্ধেকটা কলা এবং চার টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরী করুন। এবার প্যাকটি ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কলা এবং টকদইয়ের মিশ্রণ ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে। এর সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়িয়ে দেয়।
যেকোন লোশন বা ক্রিম ত্বককে কালো করে। কিন্তু ঘরোয়া এই ময়োশ্চারাইজগুলো ত্বক কালো করে না বরং নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।