শীতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার কিছু ফেইসপ্যাক | Shite Toker Adrota Bojay Rakhar Face Pack

শীতকালে আমাদের সবার ত্বকই সাধারণত শুষ্ক এবং মলিন হয়ে পড়ে। এমনকি দেখা যায় সারা বছর যাদের ত্বক তৈলাক্ত থাকে শীতকাল আসলেই তা হয়ে পড়ে শুষ্ক এবং রুক্ষ। তাই এসময় চাই ত্বকের ঠিকমতো যত্ন নেয়া। ত্বক যাতে সব সময় ময়েশ্চারাইজড থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই আজ তেমনই কিছু ফেইস মাস্ক দেয়া হল যা ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আপনার রূপচর্চার রুটিনে এই ফেইস প্যাক গুলো যোগ করে শীতকালে সুরক্ষিত রাখুন নিজের ত্বককে।

শীতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার কিছু ফেইসপ্যাক
শীতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার কিছু ফেইসপ্যাক 

১। কলার ফেইস প্যাকঃ

– একটি পাকা কলা নিন।

-এতে এক টেবিল চামচ মধু যোগ করুন।

– এর সাথে এক চা চামচ অলিভ অয়েল দিন।

– সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।

এবার মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। মধু মুখের ময়েশ্চার ধরে রাখতে সাহায্য করে, অলিভ অয়েল ত্বকের সিবাম প্রোডাকশন নিয়ন্ত্রণ করে ত্বকের কোমলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

২। মিল্ক ফেইস প্যাকঃ

– একটি বাটিতে এক চা চামচ দুধ নিন।

– এক চা চামচ আমনড পেস্ট করে এর সাথে মেশান।

– এক টেবিল চামচ মধু যোগ করুন।

– এর সাথে ১ চা চামচ এলোভেরা জেল নিন।

– এবার সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।

মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। এছাড়াও এটি ত্বকের শুষ্কতা কমিয়ে ময়েশ্চার বজায় রাখে এবং চেহারায় উজ্জ্বল ভাব নিয়ে আসে।

৩। কোকো ফেইস প্যাকঃ

– একটি বাটিতে আধা চা চামচ কোকো পাউডার নিন।

– এর সাথে আধা চা চামচ মধু যোগ করুন।

– এক চা চামচ বেসন যোগ করুন।

– সবকিছু একসাথে ভালো মতো মিশিয়ে নিন।

এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। কোকোতে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট এবং ক্লিনজিং প্রোপার্টিজ। এটি ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না। আর বেসন ত্বক টানটান করে এবং ত্বকের নিস্তেজ ভাব দূর করে ত্বকে আনে লাবন্যের ছোঁয়া।

৪। শশার ফেইস প্যাকঃ

-একটি শশা কেটে পেস্ট করে নিন। এবার এর সাথে এক টেবিল চামচ চিনি যোগ করে ১০-১৫ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। ফ্রিজ থেকে বের করে মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোওয়ায় সময় একটু পানি দিয়ে প্রথমে হালকা করে ঘষবেন যাতে চিনি স্ক্রাবের কাজ করে।

শশা মুখের দাগ দূর করতে বেশ কার্যকর। এছাড়াও শশা মুখের ত্বক মসৃণ করে এবং মুখের ক্লান্তি ভাব দূর করে। আর চিনি স্ক্রাব হিসিবে খুব ভালো একটি প্রাকৃতিক উপাদান।

৫। রোজ ফেইস প্যাকঃ

– ২/৩ চা চামচ ওটমিল নিন এবং এর সাথে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।

– গোলাপ ফুলের পাপড়ি বেটে পেস্ট করে ওটমিলের সাথে ভালো মত মিক্স করুন।

এই মাস্কটি মুখে লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট রাখুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। ওটমিল মুখের শুস্কতা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ন্যাচারাল ক্লিনজার হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। আর গোলাপ ফুলের পাপড়িতে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিস যা ত্বককে ড্যামেজ এবং ব্রণের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

উপরের মাস্ক গুলো সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহারের চেষ্টা করুন। নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং ত্বক হয়ে উঠবে নরম এবং সুন্দর।