স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে ছাড়তে হবে যেসব বদঅভ্যাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: বর্তমানে ব্যস্ত জীবনধারা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে, নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশেই বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভনিরোধক ওষুধ ব্যবহারের কারণে নারীদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া, আরও কিছু অভ্যাসে নারী-পুরুষ সবার মধ্যে এই ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।  যেমন-

ধূমপান : ধূমপান অত্যন্ত ক্ষতিকারক অভ্যাস, এটা কারোই অজানা নয়। ধূমপান স্মৃতিশক্তির উপর খারাপ প্রভাব ফেলার পাশাপাশি, আলঝেইমার এবং ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ করতে পারে। ধূমপান কেবলমাত্র স্ট্রোকের ঝুঁকিই বাড়ায় না, এটি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য এবং শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতাকেও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে।

শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব : নিষ্ক্রিয় থাকা কিংবা নিয়মিত ব্যায়াম না করা কেবলমাত্র যে অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতা বাড়ায় তা নয়, পাশাপাশি এটি বড় ধরনের অসুস্থতার দিকেও শরীরকে অগ্রসর করতে পারে। শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাবে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি, বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। তাই অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস ত্যাগ করে, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়াম করার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

অ্যালকোহল পান : স্ট্রোকের অন্যতম বড় কারণ অ্যালকোহল পান। মদ্যপানে রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। যার ফলে স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে।

অতিরিক্ত লবণ খাওয়া : কেবলমাত্র অতিরিক্ত চিনিই শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়, অতিরিক্ত লবণও স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। লবণ সোডিয়ামের উৎস। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে , অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ শরীরে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। যার ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

স্ট্রোকের অন্যান্য কারণ :  ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকির আরও অনেক কারণ রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন অর্থাৎ অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, এই সবকিছু ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়াও, পারিবারিক ইতিহাসে থাকলেও স্ট্রোক হতে পারে।

আরো পড়ুন:

ঘুমানোর আগে মোবাইলে চোখ রাখবেন না যে কারণে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *