শিল্প ও বাণিজ্য

অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদস্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ই-ক্যাব

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে কিছু সদস্য প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ই-ক্যাব আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভোক্তা ও বিক্রেতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ই-ক্যাব ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে। এর মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে জবাব না দেয়া অথবা সন্তোষজনক জবাব না দেয়ার কারণে ৪টি প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানগুলোগুলো হলো- (১) টুয়েন্টিফোর টিকেটি ডট কম (24tkt.com) (২) গ্রীণ বাংলা ই-কমার্স লিমিডেট, (www.greenbangla.space) (৩) এক্সিলেন্ট ওয়ার্ল্ড এ্যাগ্রো ফুড এন্ড কনজ্যুমার লি: (www.excellentbigbazar.com)  (৪) ই-অরেঞ্জ ডট কম (www.eorange.shop)।

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)-এর সভাপতি শমী কায়সার ও সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল স্বাক্ষরিত এক সাধারণ বিজ্ঞপ্তিতে সম্প্রতি এ কথা জানানো হয়।

প্রতিষ্ঠানসমূহের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো হলো- অর্থ আত্মসাৎ, ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের অভিযোগ নিষ্পত্তি না করা, ই-ক্যাবের কারণ দর্শানো ও সতর্কীকরণ পত্রের জবাব না দেয়া, ই-ক্যাবের প্রেরিত অভিযোগসমূহের সমাধান না করা, ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১’ প্রতিপালন না করা ও এমএলএম ব্যবসা পরিচালনা করা।

ভোক্তা ও বিক্রেতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ই-ক্যাব মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানের কেউ কেউ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কেউ কেউ অভিযোগ নিষ্পত্তি ও ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১ মেনে চলার প্রতিশ্রুতিসহ সময় প্রার্থনা করেছে। তাই ৯টি প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষণে রেখে অধিকতর তদন্ত চলছে। সন্তোষজনক সমাধান না হলে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে অনুরূপ সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে।

ই-ক্যাব সর্বসাধারণকে নিজেদের আর্থিক নিরাপত্তার স্বার্থে অস্বাভাবিক অফার দেয়া পণ্য কেনাকাটায় সাবধানতা অবলম্বনের অনুরোধ করছে এবং যেসব প্রতিষ্ঠান ‘‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১” প্রতিপালন করছে না সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে কেনাকাটা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছে। ক্রেতা-ভোক্তাগণ কোনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রতারিত হয়ে থাকলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে পারেন।

ক্রেতাদের স্বার্থরক্ষা, ই-কমার্স সেক্টরের আস্থা বহাল রাখা ও এর উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ই-ক্যাব বদ্ধ পরিকর। সরকার ঘোষিত ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১’ ও এসক্রো পদ্ধতি ই-ক্যাবের প্রস্তাবিত দাবী-দাওয়ার ফসল যা বর্তমানে ক্রেতাদের আর্থিক নিরাপত্তা বিধানে ভূমিকা রাখছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনসহ বিভিন্ন সরকারী তদন্ত সংস্থাকে ই-ক্যাব অনবরত সহযোগিতা করে আসছে।

ইতোমধ্যে ই-ক্যাব সকল সদস্য প্রতিষ্ঠানকে সঠিক নিয়মে ব্যবসা পরিচালনা ও ক্রেতাদের স্বার্থরক্ষার মাধ্যমে ই-কমার্স খাতের সুনাম রক্ষা করার অনুরোধ করে বার্তা প্রেরণ করেছে। বিশেষ করে অস্বাভাবিক অফার বন্ধ করা, সময়মতো পণ্য ডেলিভারী করা, ব্যাংক ডিপোজিটের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা, ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১ প্রতিপালন করা, দেশের প্রচলিত আইন মেনে চলা, ভোক্তা অধিকারে আসা অভিযোগসমূহ দ্রুত সমাধান করা ও ই-ক্যাবের অভিযোগসমূহ সমাধান করে তার প্রতিবেদন পেশ করার জন্য সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সদস্যসহ ক্রেতা ও বিক্রেতাদের যে কোনো পরামর্শ ই-ক্যাব সাদরে গ্রহণ করবে। তথাপি ই-ক্যাবের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে না বুঝে এবং ই-ক্যাবের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে না জেনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ই-ক্যাবের নামে মিথ্যা, মনগড়া ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে নেতিবাচক ও উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা চালালে ই-ক্যাব আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।

আরো পড়ুন:

ভোক্তা বাতায়ন হটলাইন ১৬১২১ : ফোন করলেই মিলবে প্রতিকার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *