শীতে ত্বকের উজ্জলতায় উপকারী ৫টি ফেইস মাস্ক | Shite Toker Ujjolotay Upokari 5 Ti Face Mask

 

এ্র্ই শীতে ত্বর যত্নে উপকারী ফেইস মাস্ক তৈরি করুন ঘরে থাকা কিছু সাধারণ উপকরণ দিয়েই। রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এমনই কিছু মাস্ক তৈরির পদ্ধতি দেওয়া হয়।চলুন জেনে নেই সেই উপায়গুল।

শীতে ত্বকের উজ্জলতায় উপকারী ৫টি ফেইস মাস্ক
শীতে ত্বকের উজ্জলতায় উপকারী ৫টি ফেইস মাস্ক

টমেটো ও লেবুর মাস্ক:

এই মৌসুমে খুবই সহজলভ্য সবজি টমেটো। আর ত্বকের পোড়াদাগ দূর করে উজ্জ্বল করতে টমেটো খুবই উপকারী।

একটি টমেটো নিয়ে ভালোভাবে থেঁতলে এর সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি গলায় এবং মুখে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। কিছুটা শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। যা ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে কার্যকর। এই মাস্ক ব্যবহারে রোদে পোড়া ভাব দূর হয়ে ত্বক উজ্জ্বল হয়।

কাঠবাদামের মাস্ক:

চার, পাঁচটি কাঠবাদাম সারা রাত দুধে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে কাঠ বাদামের খোসা ছাড়িয়ে দুধ এবং বাদামের পেস্ট তৈরি করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে ওই পেস্ট মুখে লাগিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
এই মাস্ক ভালো নাইট ক্রিম হিসেবে কাজ করবে, যা ত্বক উজ্জ্বল করবে। তাছাড়া শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে।

হলুদের মাস্ক:

ত্বকের যত্নে হলুদ অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি উপাদান। ত্বকের যেকোনো সমস্যা দূর করে, অসম গায়ের রং স্বাভাবিক করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। তিন টেবিল-চামচ লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ হলুদগুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই মিশ্রণ ত্বকে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

কলা ও দইয়ের প্যাক:

একটি পাকাকলা চটকে সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ টক দই এবং এক টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রতিটি উপাদান খুব ভালোভাবে মিশে যায়। মুখ এবং গলায় পুরু করে মিশ্রণটি মেখে অপেক্ষা করতে হবে।
কিছুটা শুকিয়ে গেলে ৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। কোমল ত্বকের জন্য সপ্তাহে দুবার এই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

ওটমিল মাস্ক:

ত্বকে জমে থাকা ময়লা এবং মৃত কোষের পরত তুলতে নিয়ম করে এক্সফলিয়েট করা জরুরি। স্ক্রাবারের সাহায্যে এক্সফলিয়েশন করতে হয়। এতে ত্বক পরিষ্কার হয় এবং ত্বকে বলিরেখা পড়ার সম্ভাবনাও কমায়।

চার টেবিল-চামচ ওটমিলের সঙ্গে চারটি কাঠবাদাম গুঁড়া করে মিশিয়ে নিতে হবে। সামাণ্য দুধ এবং এক টেবিল-চামচ মধু দিয়ে ওটমিল ও কাঠবাদামের মিশ্রণ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। মুখের ত্বকে এই মিশ্রণ লাগিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে আলতো হাতে মালিশ করতে হবে। এতে ত্বকে জমে থাকা ময়লা এবং মৃতকোষ পরিষ্কার হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

সুন্দর ত্বক চাইলে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। আর তাই প্রতিদিন বা সপ্তাহে নিয়ম করে ত্বকের যত্নে কিছুটা সময় বরাদ্দ করে রাখা উচিত। আর এই মৌসুমে যে কোনো প্যাক ব্যবহার বা মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্বকে লাগাতে হবে। নইলে ত্বক শুষ্ক ও মলিন হয়ে যাবে।