স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করার উপায় । Eskalp Massage korar Upai
চুল পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল রাখার জন্য স্কাল্প ম্যাসাজ খুবই জরুরী। এতে ফলিকলস্ সক্রিয় থাকে, চুল মজবুত ও সতেজ হয়। স্ক্যাল্প ম্যাসাজে টেনশন কমে ও রক্তসঞ্চালন ভালো হয়। এই হেয়ার ম্যাসাজটি আপনি গোসলের আগে কিংবা অবসর সময়ে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার এর জন্য যা লাগবে তা হলো কিছু এসেন্সিয়াল অয়েল, কেরিয়ার অয়েল এবং চুল ধোয়ার জন্য শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার।
আসুন আমরা দেখে নিই স্ক্যাল্প ম্যাসাজের সাতটি ধাপ-
১. এসেন্সয়িাল অয়েল বাছাই করুন:
১ম ই চুলের ধরন বুঝে প্রয়োজনীয় একটি এসেন্সিয়াল অয়েল বাছাই করুন। যেমন আপনার যদি বেশি খুশকী থাকে তবে ল্যাভেন্ডার অয়েল, যদি চুল পরা সমস্যা থাকে তাহলে পিপারমিন্ট বা রোজমেরি অয়েল, চুল রুক্ষ হলে রোজ বা ক্যামোমিল অয়েল ব্যবহার করুন এগুলো আপনি বিউটি পার্লার বা বড় কসমেটিক্স শপে পেতে পাবেন ।
২. স্ক্যাল্প ম্যাসাজ অয়েল প্রস্তুত করুন:
একটি বাটিতে কয়েকফোটা এসেন্সিয়াল অয়েল দিয়ে তার মধ্যে কেরিয়ার অয়েল যেমন আলমন্ড বা অলিভ অয়েল কিংবা নারকেল তেল নিন। কেরিয়ার অয়েল দিয়ে আধা বাটি পেস্ট তৈরী করুন।
স্কাল্প ম্যাসাজ
৩. ভাল করে চুল আঁচরান:
একটি ভালো পরিস্কার চিরুনী দিয়ে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত চুল ভালো ভাবে আঁচরান। সাধারণ চিরুনীর বদলে হেয়ার ব্রাশ ব্যবহার করুন। আপনার চুল যদি বড় হয় তবে ডগা থেকে আঁচরাবেন এতে চুলের ক্ষতি হবে না।
৪. ম্যাসাজ শুরু করুন:
আঙুলে মধ্যে অল্প পরিমান তেল নিয়ে চক্রাকারে ম্যাসাজ শুরু করুন। আপনার আঙুলগুলো দিয়ে মাথার ত্বক ও চুলে তা ম্যাসাজ করুন। একটু পর পর আঙুলে তেল নিয়ে নিন।
৫. চুলে গরম ভাপ দিন:
ম্যাসাজ শেষ হয়ে গেলে একটি তোয়ালে সামান্য গরম করে মাথা ও চুল ঢেকে দশ মিনিট বিশ্রাম করুন।
৬. চুল ধুয়ে ফেলুন:
একটি ভাল শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। যদি আপনার চুল বেশি শুষ্ক হয়, তবে সাথে সাথে না ধুয়ে সারা রাত রেখে পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। চুল ভাল করে পরিষ্কার করতে আপনাকে দুবার শ্যাম্পু করতে হবে।
৭. সপ্তাহে একবার করে নিয়মিত ম্যাসাজ করুন:
এতে করে আপনার দুশ্চিন্তা দূর হবে, চুল হবে স্বাস্থ্যজ্জ্বল ও সুন্দর। এর সাথে পুষ্টিকর খাবার খাবেন। আশা করা যায় এর মাধ্যমে চুলের সমস্যা অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে ।