শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
spot_img
Homeছেলেদের রুপচর্চাCheleder Chuler Jotne Tips | ছেলেদের চুলের যত্নে টিপস

Cheleder Chuler Jotne Tips | ছেলেদের চুলের যত্নে টিপস

ছেলেদের চুলের যত্নে টিপস

টাক পড়া

টাক পড়া দীর্ঘস্থায়ী অসুখ। মাথায় অকালে টাক পড়া ছেলেদের অন্যতম সমস্যা। অল্প বয়সী ছেলেদের মধ্যেও টাক পড়ার প্রবণতা দেখা যায়। অল্প বয়সে টাক হওয়ার নানা কারণ আছে। টাক পড়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া বলা হয়। কপালের দুই পাশে রগের কাছ থেকে শুরু হয়ে ক্রমেই বাড়তে থাকে মাথার সামনের দিকে এবং এটা আস্তে আস্তে পেছনের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তখন পুরো মাথার চুল পড়ে যায়।

অনেক কারণে মাথায় টাক পড়তে পারে। ওজন কমানোর জন্য খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দিলেও চুল পড়ার কারণ হতে পারে। বংশগত বা হরমোনজনিত কারণে এটি হতে পারে। তাছাড়া চুল ভালোভাবে পরিষ্কার না করা, দুশ্চিন্তা করা ইত্যাদি কারণে মাথায় টাক পড়ে।

বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই কারও কারও টাক পড়া শুরু হয়ে যায়। এছাড়া অল্প বয়সে চুল পড়ার জন্য অনেকাংশে দায়ী থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখ। চুলের পুষ্টি আসে ত্বকের পুষ্টি থেকে। ত্বকের পুষ্টির জন্য আমাদের ভালো খাবার খেতে হবে। চুলের পুষ্টির কারণেও অনেক সময় মাথায় টাক পড়ে। কিছু জিনিস ভালোভাবে মেনে চললে মাথায় টাক পড়া কিছুটা কমে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ট্রিটমেন্ট ভালো কাজ করে।

চুল পাকা

অনেকের  অল্প বয়সে চুল পেকে যায় বা সাদা হয়ে যায়। অনেক কারণে অল্প বয়সে চুল পেকে যেতে পারে। চুলের গোড়ায় থাকা মেলানোসাইটের কারণে চুলের রঙ কালো হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে মেলানোসাইট ক্ষতিগ্রস্ত হলেই চুল সাদা হয়ে যায়। অনেক সময় চুলের গোড়ায় খাদ্য ও অক্সিজেন সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে অল্প বয়সে ছেলেদের মাথার চুল পেকে যায় বা সাদা হয়ে যায়।

তবে বংশগত কারনেও চুল পেকে থাকে। পাকা চুল ঢাকতে চুলে কালার করা যেতে পারে। একবার চুল পাকলে তার প্রতিকার করা যায় না। তবে হেয়ার ট্রিটমেন্ট চুল পাকা থেকে কিছুটা রোধ করে। চুল পাকা কমাতে হরীতকী, মেহেদিপাতা ভালোভাবে ফুটিয়ে টনিক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে চুল পাকা কমে যেতে পারে। এছাড়া জবাফুল বাটা, গন্ধরাজ বাটা, আমলা বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল কালো ও উজ্জ্বল হয়।

চুল পড়ার কারণ

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারনে অনেক সময় চুল পড়ে যেতে পারে। টাটকা শাক-সবজি, ফলমূল ইত্যাদি পরিমাণমতো না খেলে চুল পড়ে যাওয়া বা পেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সৌন্দর্যচর্চার নানা কৃত্রিম পদ্ধতি বেশি ব্যবহারের ফলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বারবার রিবন্ডিং, রঙ করা চুলের ক্ষতির কারণ। পরিবেশদূষণ, পানিদূষণ, বায়ুদূষণ ইত্যাদি পরোক্ষভাবে দায়ী চুল পড়া বা পাকার জন্য দায়ী।

খুশকি

ছেলেদের মাথায় বিভিন্ন কারণে খুশকি হয়ে থাকে। খুশকি কোনো রোগ বা রোগের লক্ষণ নয়। নিজের চিরুনি, ব্রাশ, তোয়ালে, বালিশের কভার যথাসাধ্য পরিষ্কার এবং আলাদা রাখলে। তাতেই খুশকি অনেক কমে যাবে।

খুশকি কমানোর উপায়

 

  • মেথিবাটা, পেঁয়াজ, নিমপাতা, লেবুর রস, টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়াায় লাগিয়ে রাখুন। ৩০-৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন।
  • ভিনেগার ও পানি মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগালেও খুশকি কমে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত খুশকি তাড়াতে মাথায় তেল দেয়া বন্ধ রাখতে হবে। খুশকিরোধী শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুলের গোড়া পরিষ্কার রাখতে হবে। একদিন পরপর শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে খুশকি কমে যেতে পারে।
  • টকদই ও মেহেদি বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে পুরো মাথার চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে ৩৫-৪০ মিনিট। পানি দিয়ে ভালোমতো ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। দু-তিনবার ব্যবহারে খুশকি চলে যাবে এবং চুল হয়ে উঠবে অনেক সুন্দর। দুই থেকে তিন দিন বা সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলেই হবে।
  • তিলের তেল, মেথি গুঁড়া করে মিশিয়ে ১৫ দিন রেখে দিতে হয়। তারপর ওই তেল দুই মাস ব্যবহার করতে হবে। তাতে খুশকির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। পাশাপাশি চুল পড়াও অনেক কমে যাবে।
  • কাঁচা পেঁয়াজের রস খুশকি দূর করে।
  • তেঁতুল গুলিয়ে মাথায় কিছুক্ষণ লাগিয়ে, পর ধুয়ে ফেললে খুশকি দূুর হবে

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments