উৎসব-পার্বণ

শুরু হলো ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী খার্চি পূজা

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও শনিবার (১৭ জুলাই) থেকে অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী খার্চি পূজা। এ দিন ভোরে ত্রিপুরার পশ্চিম জেলার পুরাতন আগরতলার চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে স্নান যাত্রার মধ্য দিয়ে পূজার সূচনা করেন চান্তাই। চতুর্দশ দেবতাকে মন্দির থেকে বের করে আনার পর ত্রিপুরা পুলিশের তরফে প্রথমে গার্ড অফ অনার জানানো হয়। এরপর ১৪ জন দেবতাকে নিয়ে যাওয়া হয় মন্দিরের পার্শ্ববর্তী হাওড়া নদীতে। 

পুরোহিতদের সঙ্গে পুলিশ বাহিনী ব্যান্ড বাজিয়ে চৌদ্দ দেবতার স্নানে অংশ নেয়। কয়েক শত বছর ধরে এভাবে প্রতিবছর শ্রাবণ মাসে পুরাতন আগরতলার চৌদ্দ দেবতার মন্দিরে বাৎসরিক খার্চি পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। 

রাজন্য আমলে ত্রিপুরার রাজবাড়ী যখন পুরাতন আগরতলায় ছিল তখন থেকে এই খার্চি পূজা প্রচলন শুরু হয়। পরবর্তী সময় রাজবাড়ী বর্তমান আগরতলায় চলে এলেও রাজাদের কুলদেবতার মন্দির রয়ে যায় পুরাতন আগরতলায় এবং প্রতি বছর খার্চি পূজা উপলক্ষে উৎসব ও মেলা আয়োজন করা হয়ে থাকে। 

রাজপরিবারের পুরোহিতকে বলা হয় চন্তাই। রাজন্য আমলে রাজা সৈন্যরা খার্চি পূজার সময় চতুর্দশ দেবতাকে গার্ড অফ অনার জানাতেন। এই প্রথা এখনও প্রচলিত রয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্য ভারত ভুক্তির পর ত্রিপুরা পুলিশ এই মন্দিরের উৎসবের সময় ১৪ জন দেবতাদেরকে গার্ড অফ অনার জানান। প্রতিদিন এখানে সরকারের তরফে একটি পাঠা বলি দেওয়া হয়ে থাকে। 

প্রতিবছর এই মেলায় ত্রিপুরা সহ আসাম পশ্চিমবঙ্গ এমনকি বাংলাদেশ থেকেও পুণ্যার্থীরা আসেন। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর থেকে নিয়ম অনুসারে পূজা অনুষ্ঠিত হলেও মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হচ্ছে না। 

এ বছরও সাত দিনব্যাপী পূজা হলেও মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে না। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *