ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বিভিন্ন উপটান
(১) ফেস ওয়াশে উপটানঃ
মুখ পরিষ্কারের সময় ব্যবহার করুন বেসন, যা প্রাকৃতিক ক্লীনজার। পুরো রেসিপিটি হচ্ছে, ১ টেবিল চামচ বেসন, ১ চিমটি হলুদের গুঁড়া ও গোলাপ জল বা কাঁচা দুধ দিয়ে মিশিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকে গোলাপ জল আর শুষ্ক ত্বক হলে কাঁচা দুধ ব্যবহার করবেন।
(২) স্ক্রাব হিসেবে উপটান
উপটানের বহুবিধ ব্যবহারের মধ্যে স্ক্রাবিংও একটি। প্রাকৃতিক এক্সফ্লোয়েটর আপনার নাজুক ত্বকের জন্য খুবই উপকারী, এটি ত্বকের উপরিভাগের মরা চামড়া সরিয়ে নতুন কোষ আসার সুযোগ করিয়ে দেয় তাও আবার আলতো ভাবে। উপটান স্ক্রাব বানাতে লাগবে,
- ১ টেবিল চামচ লাল আটা
- ১ চা চামচ আতপ চালের গুঁড়া
- ১ টেবিল চামচ বেসন
- ১ চা চামচ চন্দন গুড়া
- ১ চা চামচ নিম পাতার পেস্ট
- ১ চিমটি হলুদের গুঁড়া
- ১ টেবিল চামচ টকদই
- শশার রস (যতটুকু দিলে স্মুথ পেস্ট হবে)
এবার সব উপকরণ মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ৫ মিনিট মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
(৩) ময়েশ্চারাইজিং এ উপটান
ত্বককে ফর্সা করার পাশাপাশি এ উপটান ত্বককে আর্দ্রতাও প্রদান করে। ৫-৬ টা আমন্ড বা কাঠ বাদাম সারা রাত ননীযুক্ত দুধে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এগুলো বেটে বা পিষে নিন। তারপর এর সাথে টকদই, গাঁদা ফুলের পেস্ট ও মধু মিশিয়ে মুখের ত্বকে লাগিয়ে রাখুন কমপক্ষে ১৫ মিনিটের মত। কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। কোমল আর ফর্সা ত্বক অনুভব করবেন সাথে সাথেই।
(৪) ফেসিয়াল উপটান
ফেসিয়ালের সময় বা সপ্তাহে এক দিন এ উপটান ব্যবহারে ত্বকের ট্যান দূর হবে অনেক টাই, আর যাদের ট্যান বা এ ধরনের সমস্যা নেই তারা খেয়াল করলে দেখবেন প্যাকটি ব্যবহারের পর আপনার ত্বকের ফর্সা ভাব। এ প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে-
- ২ টেবিল চামচ বেসন
- ১ টেবিল চামচ গমের আটা
- ১/২ চা চামচ হলুদের গুঁড়া
- ১ টেবিল চামচ চন্দন/মুলতানি মাটি/তুলসি গুঁড়া
- ১ চা চামচ করে লেবু, শশা ও গোল আলুর রস
- ২ টেবিল চামচ টকদই
- ১ টেবিল চামচ মধু
সব গুলো উপাদান (পরিমাণমত) একটি বাটিতে নিয়ে ২-৩ মিনিট ধরে ভালো করে মেশান। তারপর মুখে মেখে ২০-২৫ মিনিট বা শুকাতে যতক্ষণ লাগে ততক্ষণ রাখুন। এরপর প্রথমে কুসুম গরম ও পরে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে নিন। সারাদিনের বিউটি রুটিনে আনুন একটু পরিবর্তন; এ ছোট্ট পরিবর্তন-কেমিক্যাল এর পরিবর্তে ঘরোয়া রূপ সামগ্রীর ব্যবহার আপনার ত্বকে এনে দেবে ন্যাচারাল গ্লো; যা হবে দীর্ঘস্থায়ী এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত।